পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাহাড়ি ঢল, ভারী বর্ষণ ও প্রবল স্রোতে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৪০ কি.মি. সড়কের প্রায় ২৫ কি.মি. ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও পেভেমেন্ট, এজিং, বিটুমিনাস, সাফেস, সড়ক বাঁধের সোল্ডার, ও সিসিব্লক ১৯/১ কালভার্ট, উইংওয়াল, ১২/১নং সেতুর এপ্রোচসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের স্বল্প মেয়াদি মেরামত সম্ভাব্য ব্যয় ৫৫৫ লাখ এবং দীর্ঘ মেয়াদী মেরামত সম্ভাব ব্যয় প্রায় ৩০৮০ লাখ টাকা।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের জন্য চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামত শুরু হবে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)’র ৪,৬৯৫ কি.মি. সড়কের মধ্যে ৯০০ কি.মি. ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৪০টি সেতু ও কালভার্ট, ৩০টি গ্রাম প্রতিরক্ষা দেওয়াল ক্ষতি হয়েছে। যা টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি।
সুনামগঞ্জে ৩য় দফা বন্যায় জেলার সবকটি উপজেলার সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা সদরের সাথে ২২টি মূল সংযোগ সড়ক পুরোপুরি ভেঙে গেছে। জেলা সদরের সঙ্গে চার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বন্ধ আছে যান চলাচল। জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পড়েছেন তাহিরপু, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, ছাতক উপজেলাবাসী। এ চার উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। তৃতীয় দফা বন্যায় সুনামগঞ্জ মৎস বিভাগের ৩৭৯০টি মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে ক্ষতিরমুখে পড়েছেন জেলার ৩১৪৬ জন মৎস্য খামারি। খামারিরা দাবি করেন তাদের ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। মাছের খামারি অনেকেই জানিয়েছেন প্রায় সব জমি ভাড়া এবং ব্যাংক ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। বন্যার পানিতে মাছ ভেসে যাওয়ায় অপুরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তৃতীয় দফা বন্যায় মৎস্য ক্ষতির পরিমাণ মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। সুনামগঞ্জ যাত্রীকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, বন্যার পর মানুষজন সব চেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বে ভাঙাচোরা সড়কের কারণে। জেলার সঙ্গে চারটি উপজেলার সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে মানুষ নৌকায় চলাচল করছে। শরৎ-হেমন্তে না চলবে নৌকা, না চলবে গাড়ি, তখন জনসাধারণের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌছার আগেই দ্রুত সড়ক মেরামত জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।