Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেজর সিনহা কেন টার্গেট

এসপির সাথে প্রদীপ-লিয়াকতের ফোনালাপে তোলপাড়

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:১১ এএম

 

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকান্ড পরিকল্পিত। টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশেই খুন হয়েছেন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার নির্দেশ পেয়ে শামলাপুর চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী সিনহাকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি করেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সাথে ওই দুই কর্মকর্তার ফাঁস হওয়া ফোনালাপে প্রদীপ কুমরাই যে গুলির নির্দেশদাতা তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। আর তাতে পুলিশ সুপারের সম্মতি রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন। এতে পুলিশ সুপার লিয়াকতকে বলেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে, তোমারে গুলি করছে, তোমার গায়ে লাগে নাই, তুমি যেইটা করছো সেটা তার গায়ে লাগছে।’ ফোনালাপের অডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এ নিয়ে সর্বত্রই ব্যাপক তোলপাড় চলছে।

ঘটনার পর টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলার এজাহারেও ওসির নির্দেশে সিনহাকে গুলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। ফৌজদারি আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। আর সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তাকে কেন টার্গেট করা হলো তা নিশ্চিত হওয়া না গেলে এই মামলার আসল রহস্য আড়ালেই থেকে যাবে।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা খুনের ঘটনাকে চেকপোস্টে তল্লাশিকালে ঘটে যাওয়া নিছক কোন দুর্ঘটনা বলা যাবে না। এখনও পর্যন্ত যেসব তথ্য বের হয়েছে তাতে স্পষ্ট এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বিশেষ করে তিন পুলিশ কর্মকর্তার ফোনালাপে বিষয়টি এখন একেবারেই পরিস্কার। পুলিশের বর্ণনা মতে সিনহা গুলি করতে উদ্যত হয়েছেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশ তাকে পরপর চারটি গুলি করে। গুলিতে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে সেখানে দীর্ঘসময়ে ফেলে রাখা হয়। তাকে বাঁচাতে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার মতো কোন মানবিক আচরণ পুলিশ দেখাতে পারেনি। এতে বুঝা যায় পুলিশের উদ্দেশ্য ভাল ছিলো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর কক্সবাজার পুলিশ যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে অনেক ফাঁক রয়েছে। ডাকাত সন্দেহে সিনহার প্রাইভেটকারটি আটকানো হয়। অথচ তার আগে ওই প্রাইভেটকারটি বিজিবির একটি চেকপোস্ট অতিক্রম করে এসেছে। এটি ফাঁড়ির ইনচার্জসহ সবার জানা ছিলো। এরপরও গাড়িতে তল্লাশির আগেই তাকে গুলি করা হলো। আবার পুলিশ চারটি গুলির কথা স্বীকার করলেও সুরতহাল রিপোর্টে ছয়টি গুলির কথা বলা হচ্ছে। বাকি দুটি কে করল।

প্রদীপ কুমার দাশ এবং লিয়াকত আলী দুই জনই দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম নগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তাদের যারা কাছে থেকে দেখেছেন এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, প্রদীপ স্বার্থ ছাড়া কিছ্ইু করে না। এই ঘটনার পেছনেও নিশ্চয়ই তার বড় স্বার্থ ছিলো। সেটা জানা গেলে সিনহা খুনের মোটিভ উদঘাটনও সহজ হবে বলে মনে করেন তারা।

প্রদীপের কাছের লোক হিসাবে তার অনেক কুকর্মের সহযোগী ও সাক্ষী লিয়াকত। টেকনাফ যাওয়ার পর প্রদীপের নির্দেশে ক্রসফায়ারের নামে সে পাখির মতো মানুষ মেরেছে। পরিদর্শক লিয়াকত পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াতের সদস্য। প্রশিক্ষিত সোয়াতের সদস্যরা ‘এআর-১০ স্নাইপার’ ও ‘এম-৪ কারবাইন’সহ দূরবীন লাগানো স্নাইপার রাইফেল দিয়ে এক কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারেন। যে কারণে চোখের পলকে পরপর চারটি গুলি ছোড়েন লিয়াতক।

সব গুলিই সিনহার শরীরে বিদ্ধ হয়। ঘটনার পরদিনই লিয়াকতকে ক্লোজ করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঘটনার পর সিনহার বোনের মামলার খবর পেয়ে টেকনাফ থেকে নগরীতে চলে আসেন প্রদীপ। নিজেকে অসুস্থ দাবি করে দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। তার কাছে থাকা পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়া হয়। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়।

শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর (অব.) সিনহাকে গুলি করার ঘটনা ঘটে ৩১ জুলাই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে। সিনহা সেখানে পৌঁছালে লিয়াকত পরিচয় জানতে চান। সিনহা গাড়ির ভেতর থেকে নিজের পরিচয় দেন। লিয়াকত তাকে হাত ওপরে তুলে বেরিয়ে আসতে বলেন। সিনহা বেরিয়ে আসার পরপরই লিয়াকত তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিনহাকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে ওসি প্রদীপ সেখানে এসে সিনহাকে লাথি মারেন। প্রায় পৌঁনে এক ঘণ্টা পর একটি ট্রাকে তুলে সিনহাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পথে তিনি মারা যান।

‘একজনকে ডাউন করছি স্যার’
‘একজনকে ডাউন করেছি, একজনকে ধরেছি স্যার।’ সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যার পর এভাবে পুলিশ সুপারকে ঘটনা জানান পরিদর্শক লিয়াকত আলী। রাত ৯টা ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের দিকে এসআই লিয়াকত এবং প্রদীপ দাশ পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে ফোন করেন।
প্রদীপ: আদাব, স্যার

মাসুদ: কী, আপনি এমন কি হইছে, বলেন
প্রদীপ: স্যার, লিয়াকতরে গুলি করছে নাকি স্যার, আমি যাচ্ছি ওখানে
মাসুদ: কে?

প্রদীপ: ঐ যে স্যার লিয়াকত স্যার ইয়াতে, চেকপোস্টে
মাসুদ: হ্যাঁ

প্রদীপ: একটা গাড়িকে সিগন্যাল দিছে, সিগন্যাল দেয়ার পরে গাড়ি থেকে তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করছে। ওই সময় আমি তাকে বললাম, ঠিক আছে তুমিও তাড়াতাড়ি ওকে গুলি করো। সেও নাকি তাকে গুলি করছে স্যার, আমি যাচ্ছি স্যার ওখানে স্যার
মাসুদ: যান, যান

মেজর সিনহাকে গুলি করার পর এসআই লিয়াকত ফোন করেন এসপি মাসুদকে।
লিয়াকত: আসসলামু আলাইকুম, স্যার

মাসুদ: বলো

লিয়াকত: এখানে একটা প্রাইভেট কার আছে স্যার, ঢাকা মেট্রো লেখা। আর্মির পোশাক টোশাক পরা। তাকে চার্জ করছি, সে মেজর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে চলে যেতে চাইছিলো। পরে অস্ত্র তাক করছিলো, আমি গুলি করছি স্যার। একজন ডাউন করছি, আরেকজন ধরে ফেলছি স্যার। স্যার আমি কি করবো স্যার? আমাকে পিস্তল তাক করছে, পিস্তল পাইছি তো স্যার।

মাসুদ: আচ্ছা, ঠিক আছে, তোমারে গুলি করছে, তোমার গায়ে লাগে নাই, তুমি যেইটা করছো, সেটা তার গায়ে লাগছে।



 

Show all comments
  • sofiqul ৯ আগস্ট, ২০২০, ১:৩৭ এএম says : 0
    onek bisoyer sathe mil pawa gache
    Total Reply(0) Reply
  • Golam Rasul ৯ আগস্ট, ২০২০, ৩:৪৮ এএম says : 1
    ওদের সকলের ফাঁসি দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Hossain ৯ আগস্ট, ২০২০, ৩:৪৯ এএম says : 0
    এরকম সাজানো মামলায় কত সাজানো-গোছানো ফ্যামিলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কত মানুষের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে এর বিরুদ্ধে আইন তৈরি করা উচিত
    Total Reply(0) Reply
  • Md Niloy ৯ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫০ এএম says : 0
    কলিজাটা ছাড় খার হয়ে যাচ্ছে একজন সাবেক সেনাবাহিনীকে এভাবে হত্যা করার পরেও
    Total Reply(0) Reply
  • Moyen Uddin ৯ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫২ এএম says : 0
    SP of CoxessBazar is the main masterminds, he should be put on justice immediately
    Total Reply(0) Reply
  • Tareq Anam ৯ আগস্ট, ২০২০, ৩:৫৩ এএম says : 1
    আসল রাঘব বোয়াল যেনো বেরিয়ে না আসে,তাই হইত পয়েন্ট খুনিরা সহজেই ধরা পরছে,, আর উপরে কিছু বের করার আইন বা ক্ষমতা কি এদেশে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির আছে?
    Total Reply(0) Reply
  • Shakil Mahmud Khan ৯ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৩ এএম says : 1
    বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপকে নিয়ে জঙ্গলে অস্ত্র উদ্ধার করা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Farhana Rahman ৯ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৭ এএম says : 1
    একটি হত্যার সাথে এত ঘটনা জড়িত। মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না আর যে সব অপরাধের কথা বের হয়ে আসছে তা শুনে আরও খারাপ লাগছে। রাষ্ট্র কি দানব তৈরি করছে?
    Total Reply(0) Reply
  • Kawsar Shah ৯ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৮ এএম says : 0
    টেকনাফে ওসি থাকা কালিন যে, প্রদীপ কুমার দাস দুই শতাধীক মানুষ খুন করেছে প্রত্যেক হত্যার একটা নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া অতিব জরুরী!!
    Total Reply(0) Reply
  • Sunbir Chowdhury ৯ আগস্ট, ২০২০, ৪:১৯ এএম says : 0
    বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন প্রদীপের আলোটা নিভিয়ে দিন যাতে দেশের জনগণ নিরাপদ ও শান্তিতে থাকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazrul Islam Bhuiyan ৯ আগস্ট, ২০২০, ৪:২৩ এএম says : 1
    দেশে এখন জংলী শাসন চলছে I সিনহা খুন তার সবশেষ নয় মাত্র একটা খন্ড চিত্র মাত্র I এমন সিনহা প্রতিদিন মারা যাচ্ছে দেশের আনাচে কানাচে I করোনা তাদের লোভ লালসা দমাতে পারেনি I আল্লাহ সাক্ষী একদিন এই দুঃশাসন শেষ হবেই হবে I
    Total Reply(0) Reply
  • md kawserali ৯ আগস্ট, ২০২০, ৭:১৯ এএম says : 0
    প্রদীপের আলো নিভিয়ে দিন ৷ তানাহলে এই প্রদীপের অন্ধকারে কত মায়ের বুক খালি হবে আল্লাহই মালুম ৷
    Total Reply(0) Reply
  • habib ৯ আগস্ট, ২০২০, ৯:২৭ এএম says : 0
    ei sorkarer hate bangladesh r nirapod nai..seta ekhon promanito..
    Total Reply(0) Reply
  • saif ৯ আগস্ট, ২০২০, ৯:৪৪ এএম says : 0
    আমারতো মনে হয় ফোন আলাপেও অনেকটা সাজানো, যেভাবে কথাগুলো তারা একে অন্যের সাথে বলছিল। বাইরের চক্রান্ত আছে, লিয়াকত নির্ভুল আঘাত হানতে পারলে সিনহা ৫ সেকেন্ডেই ৮ রাউন্ড গুলি করার সক্ষমতা ছিল, সে যদি আসলেই গুলি করার ইচ্ছা করতো তবে তার জন্যে কেবল ৫ সেকেন্ডই যথেষ্ট ছিল, কারন তিনি ASF এর এক জন কমান্ডার ছিলেন।
    Total Reply(0) Reply
  • sats1971 ৯ আগস্ট, ২০২০, ১০:১৩ এএম says : 0
    If trace out the wealth.money, land before join the service and after service how step advanced and how much than it is very easy to find out the criminal people in our society specially service in govt.It is mandatory now and investigate correct way specially.Than crime may be reduced in govt jobs also.
    Total Reply(0) Reply
  • Md,Nazrul islam Roman ৯ আগস্ট, ২০২০, ১০:২২ এএম says : 0
    অাসলে এটা শুধু মেজর সিনাহকে হত্যা নয়,পুরো সেনাবাহিনীর প্রতি একটা সংকেত।অামি মনে করি।২৪, ২৫/০৯ ফেব্রুয়ারিতে যেমনটি ঘটেছ, এটাও সেই ঘটনারিি একটাঅংশ।তাছাড়া এটা কিছু দেশি দালাল ও প্রতিবেশি দেশের দাদাদের সারথের পথে বড় বাধা হলো দেশ প্রেমিক মেজর সিনহারা।তাই তাকে এভাবে জীবন দিতে হয়েছে।অার অসি প্রদিপ হলো ঐসব দালালদের েএজেনট। ধীরে ধীরে এভাবেই একদিন পুরো দেশটাকেই ওরা গ্রাস করবে। কবেঅামাদের হুস হবে অার কবেই বা অামরা প্রকূত দেশ প্রেমিক হব। যেখানে এিশ লাখ শহীদের রক্ত মিশেআেেছে,অামাদের এই মাতিৃ ভূমি। কবে মুক্তো হবে এসব দালালদের হাত থেকে একমাএ অাললাহ পাক ভাল জানেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Karim ৯ আগস্ট, ২০২০, ১০:২৯ এএম says : 0
    পুলিশের কোনো ঘটনা ঘটলেই দেখা যায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার দায় অধস্তন কর্মকর্তা ও সৈনিকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেরা নিরাপদ থাকে এটা পরিষ্কার যে এসপি সাহেব এই ঘটনাকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন এমনকি তিনি যদি লিয়াকতকে সাথে সাথে নির্দেশ দিতেন যে মেজর সিনহা কে দ্রুত হসপিটালে নেয়া হোক তাহলে এই দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত কিন্তু এসপি সাহেব সেই কাজটি করেননি উল্টো কিভাবে বেঁচে যাবে তার কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন এতে প্রমাণিত হয় এসপি সাহেব নির্দল তাই অতি দ্রুত তাকে বরখাস্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • আলমগীর ৯ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩০ এএম says : 0
    এসপি মাসুদ এর বিচার চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • কামাল ৯ আগস্ট, ২০২০, ১০:৩২ এএম says : 0
    এই ঘটনার জন্য মূলত এসপি সাহেব দায়ী কারণ কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় একের পর এক ক্রসফায়ার হলেও এসপি এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি উলটো এই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন যুগিয়েছেন যার ফলে তার অধীনস্থ পুলিশ ছিল বেপরোয়া এবং এই ঘটনা ঘটতে পেড়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৯ আগস্ট, ২০২০, ১১:১৮ পিএম says : 0
    ফৌজদারি আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। আর সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তাকে কেন টার্গেট করা হলো তা নিশ্চিত হওয়া না গেলে এই মামলার আসল রহস্য আড়ালেই থেকে যাবে।" আমি ব্যাক্তিগতভাবে এনাদের কথার সাথে একমত পোষন করে বলছি সিনহাকে কেন হত্যা করা হয়েছে এটাই প্রথম জানা দরকার। এরপর খবরে প্রকাশ তাদের (প্রদীপ ও লিয়াকত) যারা কাছে থেকে দেখেছেন এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, "প্রদীপ স্বার্থ ছাড়া কিছ্ইু করে না। এই ঘটনার পেছনেও নিশ্চয়ই তার বড় স্বার্থ ছিলো। সেটা জানা গেলে সিনহা খুনের মোটিভ উদঘাটনও সহজ হবে বলে মনে করেন তারা।" তাহলে সবার আগে প্রদীপের কাছ থেকে এটাই জানতে হবে কেন সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদে আমরা প্রত্যক্ষ দর্শীদের বিবরণে থেকে জানতে পেরেছি সিনহা এমন কোন ঘটনা ঘটাননি যেকারনে তাঁকে গুলী করা যায়। কাজেই হত্যার উদ্দেশ্যের মধ্যেই সকল রহস্য লুকিয়ে রেয়েছে এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ সবই জানেন, তিনিই দয়াময় তিনিই সকল রহস্য উন্মোচন করে থাকেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Zaman ১০ আগস্ট, ২০২০, ৯:০৯ এএম says : 0
    ইলিয়াস কোবরা, লিয়াকত, প্রদীপ, মাসুদ এবং এদের সহযোগীদের যদি ফাঁসি না হয় তাহলে এরশাদ শিকদারের সাথে কি অবিচার করা হয়নি ? এদের অপরাধ কি এরশাদ শিকদারের চেয়ে কম ? এরশাদ শিকদার সারা জীবনে কয়টা খুন করেছে জানিনা কিন্তু প্রদীপ শুনলাম এক মাসে ১০টি খুন করেছে। এরশাদ শিকদার রাষ্ট্রীয় বেতন, অস্ত্র, বাহিনী ব্যবহার করে খুন করেনি প্রদীপ তাই করেছে। প্রদীপ সর্বপ্রথম রাষ্ট্রদ্রোহী তারপর খুনি। দুঃখিত: এইসব রাষ্ট্রদ্রোহী পুলিশ অফিসারদের নামের আগে তাদের পদবি ব্যবহার করতে আমার লজ্জা লাগায় আমি শুধু নাম লিখেছি। [উল্লেখ্য: এরশাদ শিকদারের সাফাই গাইছি না। শুধু এদের অপরাধের সাথে তার অপরাধের তুলনা করছি।]
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেজর-সিনহা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ