পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক’ দাবি করে উন্নয়ন সহযোগী চীনের সঙ্গে শুধুই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের (বাংলাদেশ) রক্তের সম্পর্ক এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক শুধুই অর্থনৈতিক। সম্প্রতি চীন আমাদের দেশে ৮ হাজারেরও বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। গতকাল শনিবার মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা রক্তের সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে। আগামী বছর আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উৎসব পালন করব। আমাদের বিজয় ভারতের বিজয়। আমাদের উন্নয়ন ভারতের উন্নয়ন। ভারতের সঙ্গে যেমন আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, তেমনি চীনের সঙ্গেও আছে। ইতোমধ্যে চীন আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে চীন-ভারত উত্তেজনায় বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না। চীন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে অনেকে রাজনীতি করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন ও ভারতের করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের দেশের আইসিডিডিআরবি কাজ করছে। কোন পর্যায়ে কীভাবে ট্রায়াল হবে এটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু কেউ কেউ এটা রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছেন। ভারত ও পাকিস্তান বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কোলাবরেশন করে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কাজ করছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে টাকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা করছে সরকার।
চীন ও ভারতের বিরোধ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ভারত-চীনের মধ্যকার সমস্যা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। আগামী বছর আমরা ভারতকে নিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব করব। বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে এই মুজিববর্ষেই বিচার করা হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য আমরা জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু এটা অন্য দেশের ওপর নির্ভর করে, তাই একটু বিলম্ব হচ্ছে। আমরা সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মুজিবনগর পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গনি স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।