পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েও স্ত্রীর অধিকার না পেয়ে দারে দারে ঘুরছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের জোসনা। জোসনা (৩২) অভিযোগ করেন ফাতেমা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক ইকরামুল হোসেন (৪২) তাকে ছয় মাস আগে বিয়ে করেও এখন স্বামীর অধিকার দিচ্ছে না। জোসনা গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার পরানপুর গ্রামের শ্রী বীজন বিশ্বাসের মেয়ে। অন্যদিকে স্বামী ইকরামুল হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নলডাঙ্গা ইউনিয়নের খড়াশুনি গ্রামের বক্কার মিয়ার ছেলে।
অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, তিনি হিন্দু পরিবারের বিবাহিত নারী। ফাতেমা হাসপাতালে আয়ার চাকরি করেন। চাকরিকালিন হাসপাতাল মালিক ইকরামুলের বদ নজরে পড়েন জোসনা। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইকরামুল অবৈধ মেলা-মেশা করেন। দীর্ঘদিন অবৈধ মেলামেশায় জোসনার গর্ভে বাচ্চা এসে যায়। এমতাবস্থায় জোসনা বিয়ের চাপ দিলে ইকরামুল জোসনাকে দিয়ে পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স করিয়ে ঝিনাইদহ শহরে একটি আবাসিক হোটেলে এনে মুসলমান বানিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে বিয়ে করে বলে জোসনার দাবি। এরপর জোসনার কাছে অনেক বিশ্বস্ত সেজে এবং ইসলাম ধর্মে বিয়ের আগে বাচ্চা বৈধ না বলে ফুসলিয়ে পেটের বাচ্চাটাকে নষ্ট করে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী জোসনা। এভাবে ঝিনাইদহ শহরের আর্দশপাড়া, খন্দকারপাড়া এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে রেখে জোসনার কাছে আসা যাওয়া করতে থাকে ইকরামুল। বর্তমান কালিগঞ্জ শহরে পশু হাসপাতালের পাশে বাসা ভাড়া করে রেখে গত ১০ দিন হলো জোসনার খোঁজ খবর নেয় না এবং স্ত্রী বলেও পরিচয় দিচ্ছে না। এসব অভিযোগ জোসনার।
এ বিষয়ে জোসনা বলেন, বিয়ের বিষয়ে মুখ খুললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ইকরামুল। জোসনা আরও বলেন, এ বিষয়ে কালিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক সমিতির কাছে স্বামীর অধিকার চেয়ে ইকরামুলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
কালিগঞ্জ ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রব্বানি ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে বলেন, জোসনার অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ইকরামুলকে মীমাংসা করে নেয়ার জন্য বলেছেন।
গত ৬ আগস্ট সকালে জাতীয় মহিলা সংস্থা ঝিনাইদহ সদরে একই অভিযোগের ভিত্তিতে আরেকটি অভিযোগ দায়ের কর হয়। এই বিষয়ে ইকরামুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জাতীয় মহিলা সংস্থা ঝিনাইদহ জেলা অফিসার ব্রজেন চন্দ্র গোয়ালা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি আমরা অতি সত্বর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।