পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশে ‘নির্বাসিত’ বাংলাদেশি মানবাধিকার কর্মীদের দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সরকার হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে সরকারকে এই হয়রানি বন্ধের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই বিদেশে নির্বাসিত মানবাধিকার কর্মীদের দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও মানবাধিকার রক্ষার কাজটি এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে, অনেক ব্লগার ও মানবাধিকার কর্মীকে বাংলাদেশে নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখে দেশ ছাড়তে হয়েছে, যারা বর্তমানে প্রবাসে থেকে তাদের কার্যক্রম চালাতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এখন নির্বাসিত মানবাধিকার কর্মীদের কণ্ঠরোধে দেশে থাকা তাদের পরিবারবর্গকেও হয়রানি শুরু করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, প্রবাসে নির্বাসিত মানবাধিকার কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা অত্যন্ত গর্হিত, নিন্দনীয় একটি কাজ। সরকার মানবাধিকার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর এ অপকৌশল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সরকারের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা এবং এ জাতীয় ঘটনা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সরকারকে মানবাধিকার কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত, স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু বিতর্কিত ধারার অপব্যবহার করে সরকার কয়েক বছর ধরে অনলাইনে অবাধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত করছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় এই নিপীড়নের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেলেও, প্রবাসে নির্বাসিত মানবাধিকার কর্মীদের দেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি করা একটি নজিরবিহীন, জঘন্য দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা দিতে হবে, এবং মানবাধিকার কর্মীদের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা হিসেবে কোনোভাবেই তাদের পরিবারকে হয়রানি করা যাবে না। এছাড়া সরকারকে অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত করার মূল অস্ত্র হয়ে উঠা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সংশোধন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।