পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে জেরিন নামে এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিংয়ের ৫ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর ভবনের দোতলার ফ্ল্যাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মেসের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আনুমানিক ১৭-১৮ বছরের ওই তরুণীর নাম জেরিন এবং তার বাড়ি দিনাজপুর বলে জানালেও এই পরিচয় সঠিক কি না তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। ঈদের দিন থেকে জেরিন মেস করে থাকা ওই ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন লাশটি ডাইনিং স্পেসে পড়ে ছিল। মেঝেতে জমাট বাঁধা রক্ত এবং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো দেখা গেছে। লাশটি গলে যাওয়ায় মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন রত্না নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। তিনিই কয়েক দিন পর সকালে ওই ফ্ল্যাটে ফিরে মেয়েটির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
রত্না জানিয়েছেন, ঈদের দিন তিনি এক নিকটাত্মীয়র বাসায় যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেসে ফিরে তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুলেই দুর্গন্ধ পান। একটু ভেতরে ঢুকে দেখি জেরিন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এরপরেই চিৎকার দিয়ে বের হয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, গত মার্চ মাস থেকে এখানে আছেন তিনি। তার আগে থেকেই জেরিন এখানে থাকতেন। জাকিয়া নামের এক নারী এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে মেস বানিয়েছিলেন। রত্না বলেন, ঈদের দিন তিনি বাসা থেকে বেরোনোয় সময় জেরিন একাই ফ্ল্যাটে ছিলেন। মেসের অন্য সদস্যরা ঈদের আগে যে যার মতো করে চলে যান।
রত্না জানান, জেরিন মোহাম্মদপুরের একটি স্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ত বলে জানিয়েছে। তবে মেসে তার বইপত্র খুব একটা ছিল না। দিনের বেলায় অধিকাংশ সময় ঘুমাত, সন্ধ্যার দিকে বের হত। পরে রাতে কোনো এক সময় বাসায় ফিরত, আর গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে কথা বলত।
কেউ একজন মাঝে মাঝে তাকে খাবার দিয়ে যেতেন জানিয়ে রত্না বলেন, “ভাই খাবার দিয়ে গেছে বলে জেরিন জানাত। তবে তার প্রকৃত পরিচয় বিস্তারিতভাবে কখনও জানা হয়নি। ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, মেয়েটির নাম জেরিন এবং বাড়ি দিনাজপুর বলা হলেও এটাই সঠিক পরিচয় কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। তার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।