পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গার ওপর অবৈধভাবে রাম মন্দির নির্মাণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গায়ের জোরে জবর দখলকে কখনো ইতিহাসে বৈধতা দেয়া যাবে না। বাবরি মসজিদের ইতিহাস কেউ মুছতে পারবে না। আগামী প্রজন্মের সকলেই জানবেন, পাঁশত বছর ধরে এই ভূমির ওপর মসজিদ ছিল এবং মুসলমানরা আযান ও নামায আদায় করে আসছিলেন। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদের ওপর জবরদখল করে রাম মন্দির নির্মাণ হিন্দুত্ববাদিদের জন্য কলঙ্ক হয়ে থাকবে।
কিন্তু বিশ্ববাসীর চোখের সামনেই হিন্দুত্ববাদিরা সন্ত্রাসী কায়দায় ঐতিহাসিক মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয় এবং প্রতিবাদি কয়েক হাজার মুসলমানকে হত্যা করে। এরপর কয়েক যুগের আইনী লড়াইয়ে ন্যায় বিচারের ভরসাস্থল ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টও হিন্দুত্ববাদে প্রভাবিত হয়ে কোনরূপ প্রমাণপত্র ছাড়া ঐতিহাসিক এই মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয়। এই রায় যে আইনসম্মতভাবে হয়নি, বিশ্ববাসী দেখেছে। আদালতের এই আদেশ ইতিহাসে বেআইনী রায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী চলমান নিষ্ঠুরতার একদিন অবসান ঘটবে। ভারতীয় মুসলমানরা তাদের সকল ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে এবং বাবরি মসজিদের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত মন্দিরের অবসান ঘটে আবারো সেখানে আযান ও জামাত আদায় হবে। কখনোই হিন্দুত্ববাদিরা অবৈধ জবরদখলকে বৈধ ও স্থায়ী রূপ দিতে পারবে না। ইনসাফ ও সত্যের জয় অবধারিত।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস: এদিকে, বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাবরি মসজিদের জায়গা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। অথচ ভারত সরকার গায়ের জোরে বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেছে। যা’ বিশ্ব মুসলিম প্রত্যাখ্যান করেছে। নেতৃদ্বয় বলেন, গায়ের জোর ও ক্ষমতার বলে অনেক কিছুই করা যায় তবে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। সুতরাং রাম মন্দির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সেখানে বাবরি মসজিদ পুন:নির্মাণের ঘোষণা দিন। অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না। মুসলমানরা তাদের মসজিদ রক্ষায় প্রয়োজনে ভারতকে বয়কটের ঘোষণা দিতে পারে। নেতৃদ্বয় বলেন, বাবরি মসজিদের জায়গা অতীতে ছিলো ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। ভারতের বিজিপি সরকার মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর খেসারত ভারত সরকারকেই দিতে হবে। মুসলিম বিদ্বেষীয় মোদি সরকার মুসলমানদের সকল প্রকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।