Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অযোধ্যায় রাম মন্দির একসময় আয়া সোফিয়ায় রূপ নিবে বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের নেতাবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২০, ৬:৫২ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বাবরি মসজিদস্থলে রাম মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। মোদী সরকার গায়ের জোরে মসজিদের জায়গা মন্দির নির্মাণ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। ইসলাম বিদ্বেষী মোদী মুসলমানদের মসজিদস্থলে রাম মন্দির নির্মাণ করে ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত করেছে। এতে করে মোদী নিজের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে। ভারত ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। বাবরী মসজিদ ছিল, আছে এবং থাকবে। অযোধ্যায় কথিত রাম মন্দির একসময় আয়া সোফিয়ায় রূপ নিবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, অযোধ্যায় ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাবরি মসজিদ ছিল এবং ১৯৯২ সালে অপরাধী জনতা মসজিদটিকে শহিদ করেছিল। তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ পুন:নির্মাণে বিশ্বের মুসলিম জনতা প্রয়োজনে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত¡রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদস্থলে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের সহকারি মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, যুবনেতা কেএম আতিকুর রহমান, উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন, শ্রমিকনেতা হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, নূরুল ইসলাম নাঈম, ডা. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, সৈয়দ ওমর ফারুক প্রমুখ।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর কী বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়নি? ইতিহাস স্মরণ রাখবে যে, ১৯৪৯ সালের ২২/২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে কী হয়েছিল যখন মসজিদের মধ্যে প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়েছিল। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজা ও ভিত্তিপ্রস্তর দ্বারা প্রমাণিত হয়. এটা মন্দিরের জায়গা নয় বা এখানে পূর্বে মন্দির ছিল না। হিন্দুরীতি অনুযায়ী ভূমিপূজা একবারই হয়। আল্লাহর দুশমনের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ হতে বাধ্য। তিনি বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই নির্দেশ করলে ইসলামপ্রিয় জনতা বাবরি মসজিদ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়বে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, কসাই মোদী মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয়স্থলে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর করেনি বরং তাদের পতনের ভিত্তিস্থাপন করেছে। রামমন্দির একসময় আয়া সোফিয়ায় রূপ নিবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মসজিদস্থলে রামমন্দির স্থাপনের প্রতিবাদ করে মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিন। অন্যথায় হিন্দুপ্রেমিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তিনি লেবাননে বিস্ফোরণ ঘটনায় শতাধিক মুসলিম নিহত ও হাজার হাজার আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটন দাবি করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল জাতীয় ক্লাব, কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন মোড় এসে সমাপ্ত হয়।

 



 

Show all comments
  • মিয়া আবদুল হান্নান ৯ আগস্ট, ২০২০, ৮:০৬ পিএম says : 0
    মরণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো জনসাধারণ লকডাউন থাকায় ও আক্রান্ত থাকায়, সব কিছুই উল্টাপাল্ট। "দৈনিক ইনকিলাব" সেই থেকে আমাদের প্রিয় পত্রিকা সময়ের সাহসী মূখ পত্র, দেশ ও জনগণের কথা বলে। দীর্ঘদিন যাবত ৮ পৃষ্টা বেরুচ্ছ। অন্যান্য নতুন পুরাতন পত্রিকা ১২ পৃষ্টা ১৬ পৃষ্টা হকারেরা বিক্রী করেছে। সেজন্য দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিয়ত ৮ পৃষ্ঠার হওয়াতে পাঠক কমতে শুরু করেছে। আগের মতো ১২ পৃষ্ঠার দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিয়ত পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়া হোক। অনুরোধে - --মিয়া আবদুল হান্নান, সভাপতি দৈনিক ইনকিলাব পাঠক সংসদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা, ঢাকা - ১৩১০ ( দৈনিক ইনকিলাব ১২ পৃষ্টা চাই -!)
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ