পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় গত ১ জুলাই জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিল ৭ জাপানি নাগরিক। ঘটনার এক মাস পর গত মঙ্গলবার নিহত ওই ৭ নাগরিককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করল জাপান। এদিন দেশটির রাজধানী টোকিওতে নিহতদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানের (মেমোরিয়াল সার্ভিস) আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবে, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকাসহ প্রায় ৯শ’ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে নিহত জাপানিদের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও ছিলেন। অশ্রুসিক্ত চোখে ফুল দিয়ে নিহতদের স্মরণ করেছেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। জাপানের ইংরেজি ভাষার সর্ববৃহৎ দৈনিক দ্য জাপান টাইমস জানিয়েছে এই সংবাদ।
নিহতের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে মিডিয়াকর্মীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। তবে অনুষ্ঠান শেষে নিজ অফিসে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন শিনজো অ্যাবে। সেখানে জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বজন হারানো পরিবারগুলোর সদস্যরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা ভীষণ মর্মাহত। কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ছাড় দেবে না জাপান। বাংলাদেশকে (সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি মোকাবেলায়) আমরা লাগাতার সহায়তা করে যাব।
নিহত জাপানিদের মধ্যে দু’জনের নাম ছিল মাকোতো ওকামুরা (৩২) ও ইউকো সাকাই (৪২)। এই দু’জনের সঙ্গেই জাইকার বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করেছেন সেইয়া মাতসুওকা। স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শোকাহত এই ব্যক্তি বলেছেন, এটা সত্যিই হতাশাজনক। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করছিল। আজ (মঙ্গলবার) যখন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল অর্পণ করছিলাম, তখন বারবার তাদের মুখগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছিল।
অনুষ্ঠান শেষে জাইকা সভাপতি শিনিচি কিতাওকা আরো একবার জোর দিয়ে বলেছেন, সরকারের সহযোগিতায় এখন থেকে কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে জাইকা।
এদিকে, গত মঙ্গলবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, জাপানিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ এক ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় বিদেশে অবস্থানরত কিংবা ভ্রমণরত জাপানি নাগরিকরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি হামলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব রকম তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাবে। এ জন্য তাদের জাপানের তিনটি প্রধান মোবাইল অপারেটর কোম্পানির (এনটিটি ডোকোমো ইনকর্পোরেশন, কেডিডিআই কর্পোরেশন, সফটব্যাংক কর্পোরেশন) মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবাকার্যক্রমের নিবন্ধিত হতে হবে। এতে করে বিদেশে বসেও তারা বিভিন্ন বিষয়ে জরুরি সংবাদ ও তথ্য জানাতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গুলশানের ওই হামলায় ৩ বাংলাদেশীসহ মোট ২০ ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। নিহত ৭ জাপানি জাইকার হয়ে বাংলাদেশে কাজ করছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।