পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যাকান্তের ঘটনা পুলিশের প্রতি অনাস্থা আরও বাড়িয়েছে। সিনহা এমন অন্যায় করেননি, যে কারণে তাকে গুলি করতে হল। এই ঘটনায় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ড নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। কিন্তু তার আগেই মিডিয়াতে যেভাবে এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি ওঠে এসেছে, তা সত্যিই অবাক করেছে। একটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ঘটনা। ফাঁড়িতে বহু পুলিশ থাকেন। আর নিহত সিনহারা ছিলেন মাত্র দু’জন।
তিনি বলেন, অন্যায় করলে তাকে গ্রেফতার করা যেত। এভাবে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কিনা তা বলার সময় আসেনি। কিন্তু এর দায় পুলিশ সদস্যরা এড়াতে পারে না। আমি নিশ্চিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই হত্যাকান্ড নিয়ে সিরিয়াস হবেন। আশা করছি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
কোনো ষড়যন্ত্র কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, আমি বলতে চাই না পুলিশের মধ্যে সরকারবিরোধীরা সক্রিয়। কিন্তু ক্রসফায়ার নিয়ে তো সমালোচনা আছেই। পুলিশ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাও প্রমাণিত। থানার ওসিদের অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। পুলিশের কর্মকান্ডে সরকার বিব্রত আগে থেকেই।
তিনি বলেন, এই ঘটনা সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। করোনাসহ নানা সমস্যা সামলাতে হচ্ছে সরকারকে। এমন সময়ে এই ঘটনার জন্য কেউই প্রস্তুত থাকার কথা নয়। তদন্তের মাধ্যমে সত্যটি বেরিয়ে আসুক। আস্থা ফিরে আসুক জনমনে।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এক সময় তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার বাবা মরহুম এরশাদ খান ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।