Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নেই

প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অন্ধকার জগতে চলার শেষ পরিণতি বড়ই করুণ
মিজানুর রহমান তোতা : এই ক’দিন আগেও কথিত সশস্ত্র বিপ্লব ও গোপন রাজনীতির নামে দক্ষিণ-পশ্চিমের আন্ডারওয়ার্ল্ড ছিল উত্তপ্ত। অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা এলাকা কাঁপিয়ে বেড়াত। জড়াতো খুনোখুনিতে। শান্তিপ্রিয় জনগণকে রাখত চরম অশান্তিতে। রুদ্ধশ্বাস আতঙ্ক ও ভয়ভীতি সৃষ্টি করে অস্ত্রবাজরা করত অর্থবাণিজ্য। আপাতদৃষ্টিতে তাদের তথাকথিত সশস্ত্র বিপ্লব এখন মাঠে মারা গেছে। ইতি ঘটেছে একটি অধ্যায়ের। নেতা, উপনেতা, পাতি নেতাদের শেষ পরিণতি হয়েছে অপঘাতে মৃত্যুতে। অন্ধকার জগতে পথ চলার খেসারত দিতে হয়েছে জীবনের করুণ পরিসমাপ্তির মধ্য দিয়ে। অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নেই। সমাজদেহকে ক্ষত-বিক্ষত করা অস্ত্রবাজদের চুলে পাক ধরার আগেই মৃত্যু হয়। এটি জেনেশুনেই পরিবারের নিষেধ সত্ত্বেও অন্ধকার জগতে পা বাড়ায় একশ্রেণীর টগবগে যুবক। চরমপন্থী কিংবা সন্ত্রাসী গ্রুপের অনেকে অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মুকুটহীন রাজা সেজে পরিবার-পরিজন ছেড়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়াতে দ্বিধা করেনি। ‘মরণ খেলায় যেও না, ওই পথ ছেড়ে দাও’Ñবাবা ও মা কিংবা নিকট আত্মীয়ের এমন সাবধানবাণী ও আকুতি তখন কোনো চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীর কানে পৌঁছেনি। শেষ পর্যন্ত তারা ফিরে আসে ঠিকই, কিন্তু লাশ হয়ে। তখন বাবা, মা, ভাইবোন দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে থাকেন, ‘মরেও গেল মেরেও গেল।’
অপরাধ বিশেষজ্ঞদের কথা, একসময় আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স ছিল এটি সত্য, কোনো নেতা কখনো কোনরূপ অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিতেন না। পরবর্তীতে হয় তার উল্টো। স্বাধীনতার পরে পর্যায়ক্রমে পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সের নামে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা মূলত সন্ত্রাসের মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের পথই অবলম্বন করে। তারা পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল), বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, সর্বহারা পার্টি, পূর্ব বাংলা জনযুদ্ধ, গণবাহিনী, শ্রমজীবী, লালপতাকাসহ বিভিন্ন দল ও উপদলের নামে অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা গোটা অঞ্চলে মানুষ খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মহোৎসব চালায়। তারা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ, শক্তিবৃদ্ধি, ভাড়াটিয়া হিসেবে মানুষ খুন করে অর্থ সংগ্রহ ও আধিপত্য বিস্তারে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পন্থা বেছে নেয়। গোটা অঞ্চলে অস্ত্রের ঝনঝনানি, খুনোখুনি চলতে থাকে কখনো কম আবার কখনো বেশি। ভয়ংকর জনপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এভাবে সন্ত্রাসের নীল ঢেউ বহুকাল ধরেই নদীর জোয়ার-ভাটার মতো উঠানামা করেছে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। এখনও যে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না তার গ্যারান্টি নেই। সেজন্য সচেতন ও পর্যবেক্ষক মহল থেকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৭শ’ অস্ত্রবাজ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী নিহত হয় ক্রসফায়ার, এনকাউন্টার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে। সূত্রমতে, তারা বিভিন্ন সময় ভাগ হয়ে বহু পার্টির পতাকাতলে আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকেছে। যাদের কোনোটিরই মার্কসবাদ, লেলিনবাদ ও মাওবাদের ন্যূনতম আদর্শ ছিল না, ছিল সন্ত্রাসবাদ। একেক এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে যে যার মতো খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, চিংড়ি ঘের দখল, চর দখলসহ এমন কোনো অপরাধ কর্মকা- নেই যে তারা করেনি। বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বের হয়ে নিউ বিপ্লবী পার্টি গঠন করেন খুলনার ডুমুরিয়ার একসময়ের মূর্তিমান আতঙ্ক মনোরঞ্জন গোসাই ওরফে মৃণাল। ১৯৮৭-এর দিকে সে ডুমুরিয়া এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করলেও আশপাশের জেলা ও উপজেলায় বিশেষ করে যশোর, কেশবপুর, তালা, সাতক্ষীরা, ডুমুরিয়া ও খুলনা এলাকায় দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করে ভয়ংকর জনপদ হিসেবে চিহ্নিত করে। মৃণাল পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতে খুন হন। তার অস্ত্রভা-ার অরক্ষিত থাকে। অস্ত্র চলে যায় ওই গ্রুপের অন্যদের হাতে। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে মৃণালের সেকেন্ড ইন কমান্ড আলমগীর কবীর খুন হন। ১৯৯৮ সালে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বের হয়ে শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলন গড়ে তোলেন ঝিনাইদহের মীর ইলিয়াস হোসেন ওরফে দীলিপ। যশোর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া এলাকায় ওই পার্টির ব্যাপক তৎপরতা চলে একসময়। ২০০০ সালের ১৫ জানুয়ারি দীলিপ প্রতিপক্ষ চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। তিনি ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণের মূল ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ওই সময় অনেক আর্মস ক্যাডার প্রকাশ্যে এলেও পরবর্তীতে আবার পূর্বাবস্থানে ফিরে যায়। কেউবা আনসার বাহিনীতে যোগ দিয়েও পালিয়ে আসে।
যশোর অঞ্চলের পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আরেক নেতা জাফর সেখ। তার বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়ায়। তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান ২০০৩ সালে। ২০০৫ সালের ২৩ আগস্ট চরমপন্থী গ্যাং লিডার সাগর নিহত হন। খুলনা অঞ্চলে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আরেক নেতা আব্দুর রশীদ তপু ২০০৪ সালের ২০ মে ঢাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ২০০১ সালের ২০ মে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) থেকে বের হয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল-জনযুদ্ধ) প্রতিষ্ঠা করে ঝিনাইদহের আব্দুর রশীদ মালিথা ওরফে তপন। দাদা তপন নামে গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জনযুদ্ধের দাপট সৃষ্টি হয়। গোটা অঞ্চলে এককভাবে বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে জনযুদ্ধ। তিনি ২০০৮ সালের আগস্টে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মহিলা আর্মস ক্যাডার রিক্তাসহ নিহত হন। এছাড়া পূর্ব বাংলার মধু বাবু, পূর্ব বাংলা সাম্যবাদী দলের আনোয়ার হোসেন, গণমুক্তি ফৌজের লাল্টু ও রুহুল, গণবাহিনীর সিরাজুল ইসলাম, পুর্ব বাংলা (মাওবাদী) খুলনার মাহফুজ, যশোরের মঞ্জু, রোকন, হাই, রাজু, যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী অস্ত্র ব্যবসায়ী দুই সহোদর হাসান ও মিজান, খুলনার আসাদুজ্জামান লিটু, তপু, টিপু গাজী, বিডিআর আলতাফ, যশোর বারীনগরের শরিফুল, চাঁনপাড়ার আসাদ, রশীদ, আঁিখ, কুষ্টিয়ার সিরাজ, মাগুরার শালিখার সন্যাসী, পঙ্খীরাজ, সর্বহারার তোতা, ঝিনাইদহের টিপু সুলতান, মজিদ, বাবন, তুর্কি, জাফিরুল, চুয়াডাঙ্গার কফিল, খায়রুল, বোরহান, সেন্টু, মাসুদ, হাবিবুর, মোশা, কুদ্দুস, পাভেল, মেহেরপুরের মহিলা চরমপন্থী রেহেনা বেগম রিক্তা, মহেশপুরের শাহাজান, নড়াইলের জুয়েল, বাগেরহাটের হাসান ইমাম, বাবু মোলাা ও কুষ্টিয়ার কাটা মুন্ডু বাহিনীর প্রধান, জনযুদ্ধের সোহেল টোকন ও গণমুক্তি ফৌজের ছোট সম্রাট, শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল ও সুমন, আশরাফুল আশা, বাবুল মেম্বার ও মুরাদ ওরফে ভোলা, জনযুদ্ধের আঞ্চলিক কমান্ডার লুৎফর, চুয়াডাঙ্গায় কোরবান ও তামিদুল, কুষ্টিয়ার ওবাইদুল হক লাল ও আজিজব রহমানসহ অনেক চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গ্যাংলিডার র‌্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে, এনকাউন্টারে, প্রতিপক্ষ চরমপন্থীর হাতে, গণপিটুনিতে এবং ভারতে গিয়েও নিহত হয়ে জীবনের করুণ পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন। গ্যাংলিডারদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতা এবং কর্মীদের অনেকেই পরবর্তীতে অপঘাতে নিহত হন।
পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র উদাহরণ হিসেবে জানায়, নিহত শৈলেন ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মুকুটহীন সম্রাট। একই পরিণতির শিকার দুই শীর্ষ চরমপন্থী মনোরঞ্জন গোসাই মৃণাল ও আব্দুর রশীদ মালিথা ওরফে দাদা তপন। তাদের দায়িত্ব নিয়ে পরবর্তীতেও অনেক অস্ত্রবাজ চরমপন্থী অন্ধকার জগতে চলার খেসারত দিয়েছে। যার জন্য নতুন করে কোনো চরমপন্থী গ্রুপের উত্থানের খবর আমাদের কাছে নেই। তবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে অনেকের। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিহত চরমপন্থী গ্যাং লিডারদের পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছেলে কিংবা ভাইয়ের বেপথু হবার কারণে সমাজে তাদের পরিবারও কোণঠাসা হয়ে থাকেন। মাথায় হাত দিয়ে আপসোস করেন চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের পরিবার। শুধু প্রতিপক্ষ জব্দ করতে কিংবা দরিদ্রতার কারণে যে চরমপন্থী গ্রুপে নাম লেখায় তা নয়, অনেক অবস্থাশালী পরিবারের সন্তানও সশস্ত্র বিপ্লবের ঝা-া উড়িয়ে নিজেদের চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেন। তার বড় প্রমাণ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ ওরফে বিষু মিয়ার একমাত্র পুত্র তাত্ত্বিক নেতা ক্রসফায়ারে নিহত মিজানুর রহমান টুটুল একজন এমবিবিএস পাস করা ডাক্তার ছিলেন। যার নামে এলাকায় ছিল অনেক জমি। ছিল দোতালা একটি বাড়ি। ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে তাদের মতো অনেক টগবগে যুবক তথাকথিত বিপ্লবী গুরুর হাত ধরে অন্ধকার জগতে পা বাড়ানোর পর ভাগ্যে জোটেনি স্বাভাবিক মৃত্যু। এলাকার লোকজন তাকে নিয়ে আফসোস করেন। বলেন কেন জ্ঞানী লোক হয়েও অবুঝের মতো আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স করতে গিয়ে করুণ পরিণতির শিকার হলেন বুঝে আসে না। আবার হতদরিদ্র অনেকে রাতারাতি অস্ত্র ও অর্থের মালিক হয়ে আশপাশের দশ গ্রামের লোকের সালাম পাওয়ার জন্য সশস্ত্র বিপ্লবী হয়ে আবির্ভূত হয়ে জীবন শেষ করেছে।
এখন অস্ত্রবাজ চরমপন্থী নেই। আছে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, পলিটিক্যাল ক্যাডার। তাদের হাতেও আছে বহু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা তাদের আশ্রয়দাতা। স্বাধীনতার পর অন্ত অর্ধশতবার নানা নামে কম্বাইন্ড অপারেশন হয়েছে, কিন্তু অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার আশানুরূপ নয়। তারপরে আবার ভারত থেকে সীমান্তপথে ঢুকেছে আগ্নেয়াস্ত্র। বিভিন্ন সময়ে আটক তার বড় প্রমাণ। গোটা অঞ্চলের অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের আপডেট তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা। একইসঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টদের তালিকা। অভিযানও চলছে। খুলনা র‌্যাব-৬এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, গোটা অঞ্চল থেকে অস্ত্রবাজ চরমপন্থী নির্মূল হয়েছে। তাদের পরিণতি হয়েছে করুণ। জঙ্গিবাদও নির্মূল হবে। যশোরের পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, চরমপন্থীদের মতো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী অপরাধীও অচিরেই নির্মূল হবে। ভোগ করতে হবে তাদেরও করুণ পরিণতি। কারণ জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। একটা ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টদের। তাদের ভাগ্যেও চরমপন্থীদের মতো করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সন্ত্রাসীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ