পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অভিযোগ তদন্ত হবে
মালেক মল্লিক : বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ‘জাজেস’ নতুন কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পরামর্শক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের তিন জন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটির গঠন করা হয়। জুলাই মাসে প্রথম সপ্তাহে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান করে এই কমিটি করা হয়। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেনÑ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. শওকত হোসেন।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন এ কমিটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, বিচার বিভাগীয় কর্মকতাদের বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ তদন্ত করতেই একমিটি। প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে ও সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযারী নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে করে সারা দেশ অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে গত বছর বিচারপ্রার্থীদের আইনি সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দাফতরিক এবং বিচারিক সেবার মানোন্নয়নে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযোগ-পরামর্শ বাক্স স্থাপন করা হয়। এতে করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও বিচারবিভাগীয় সকল বিষয়সহ যে কোনো অভিযোগ জমা দিতে পারবেন বিচারপ্রার্থীরা। অভিযোগগুলো আমেলে নিয়ে তা নিষ্পত্তি করা হয়। এবার এসব অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতেই চালু করা হয় জাজেস কমিটি।
সূত্রে জানা যায়, বিচার বিভাগের গতিশীলতা ও বিচাররিক কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষে বর্তমান প্রধান বিচাপতি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা উদ্যোগ নেন। বিশেষ করে উচ্চ আদালতে অনলাইন কার্যতালিকা, অনলাইন বেইল কনফারমেশন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাক্ষ্যগ্রহণ (পরীক্ষামূলক চালু), অনলাইন বুলেটিন, বিচার বিভাগীয় তথ্য বাতায়ন, সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাইব্রেরিকে ই-লাইব্রেরিতে রূপান্তর উল্লেখযোগ্য। ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি যেমন কমছে। বাড়ছে বিচার কার্যক্রমের সেবার মান। সর্বশেষ চালু হতে যাচ্ছে জাজেস কমিটি। কমিটিতে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. আজিজুল হক। পহেলা আগস্ট এ কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানা যায়। এর আগেও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সময় এরকম কমিটি ছিল। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন প্রধান বিচারপতি।
জানা গেছে, এখন থেকে সারা দেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আসা যে কোন অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে জাজেস কমিটি। কোন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে কমিটির কোন একজন সদস্য বা একাধিক সদস্য তা তদন্ত করবেন। প্রয়োজন মনে করলে অন্য কাউকে দিয়েও অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করবে এ কমিটি। আর এরপরই প্রাথমিক তদন্তের প্রতিবেদন পাঠানো হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধিন সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএ) কমিটির কাছে। প্রাথমিক তদন্তের ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই জিএ কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে পাঠবে। এরপর সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে মন্ত্রণালয়। এর আগে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সারা দেশ থেকে সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ বক্স এবং চিঠির মাধ্যমে আসা অভিযোগসমূহ গ্রহণ করতেন স্পেশাল অফিসার হোসনে আরা আক্তারের নেতৃত্বাধিন কমিটি। এই কমিটি অভিযোগসমূহ যাচাই-বাছাই করে জিএ কমিটির কাছে পাঠাতেন। কিন্তু এখন সরাসরি জিএ কমিটির কাছে না পাঠিয়ে তা পাঠানো হবে জাজেস কমিটির কাছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ বলেন, এর আগেও এমন কমিটি ছিলেন। তিনি আরো বলেন, সারা দেশ থেকে অনেক অভিযোগ আসে। নতুন কমিটি অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগকে সহযোগিতা করবে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি হবে একই সঙ্গে বিচার বিভাগের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।