পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা ঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বন্যার্তদের ত্রাণ না পাওয়া সংক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপার্সনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘বন্যা-দুর্গত জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণের কোনো অভাব নেই। সব ক্ষতিগ্রস্তরা রিলিফ চায় না। যাদের রিলিফ প্রয়োজন, তাদের আমরা দিব। অন্যদের কৃষি ঋণসহ অন্যান্য পুনর্বাসন সহায়তা দেয়া হবে’।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা দ্রুত চূড়ান্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের বাড়ি-ঘর পুনঃ নির্মাণ করে দেয়া হবে। ক্ষতিগস্ত কৃষকদের কৃষি ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
ত্রাণমন্ত্রী আরো বলেন, ‘মধ্য আগস্টে আরো একটি বড় বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব নেই। পর্যাপ্ত চাল ও টাকা রয়েছে। আমরা সেটা দিয়েই বন্যা মোকাবিলা করতে পারব’।
উপজেলার বলদমারা ঘাটে বানভাসীদের মাঝে দুইশ’ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, রৌমারী উপজেলার ৬ ইউনিয়নের বানভাসীদের মাঝে ১৮৮ মে. টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ১০০ মে. টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন তাৎক্ষণিকভাবে। এছাড়াও নদীভাঙা গৃহহীনদের জন্য দু’শ’ বান্ডিল ঢেউটিন ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন তিনি।
দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ, স্থানীয় এমপি রুহুল আমিন, সাবেক এমপি ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, মক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল কাদের, স্থানীয় আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সালু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।