পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ১৮ দিনের মাথায় সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ‘বিদেশগামীদের কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক নয়’ নিয়েছে সরকার। ইতালি থেকে দুইটি বিমানের বাংলাদেশী যাত্রীদের ফেরত এবং রিজেন্ট-জেকেজির করোনার ভুয়া পরীক্ষা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বিদেশগামী যাত্রীকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। আঠারো দিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। সরকার এখন বলছে, গন্তব্য দেশ যদি সার্টিফিকেট চায় তবেই নিতে হবে; নচেৎ সার্টিফিকেট ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে বাংলাদেশিরা। বৃহস্পতিবারই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, এখন শুধুমাত্র যে দেশ থেকে চাওয়া হবে শুধু সেই দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিলেই হবে।
গত ১২ জুলাই বিদেশগামীকের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সংগ্রহের বাধ্যবাধকতার ঘোষণা দেয়া হয়। অতপর যেসব কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা করা হবে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়। অতপর গত সপ্তাহ নিয়মটি কার্যকর করা হয়। এর দুতিন-দিন পরেই মিথ্যা তথ্যসম্বলিত সনদ নিয়ে বিদেশ ইংল্যান্ডে যাওয়ার ঢাকার বিমানবন্দরে ধরা পড়েন সরকারদলীয় একজন প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর কন্যা ঐশী খান। এই ঘটনাটি বাংলাদেশে বিরাট সমালোচনা সৃষ্টি করে। পরে দেখা যায় যে ল্যাব করেনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয় তারাই পজেটিভ সার্টিফিকেট দিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন। এই প্রেক্ষাপটে মিডিয়ায় এমন খবরও বের হয় যে, বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ভুয়া সনদ দেখিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন।
২৩ জুলাই থেকে বাংলাদেশ থেকে সকল বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করার পর এই কয়েক দিনেই ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে বিদেশগামীদের। কারণ সারাদেশে মোট ১৩ জেলার সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ১৩টি বুথে বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার বুথ রয়েছে। আর ঢাকায় রয়েছে মাত্র একটি।
৪৮ ঘণ্টা আগে সেখানে নমুনা দেয়ার কথা থাকলেও সময়মত তা হাতে না পাওয়ায় যাত্রীদের অনেকেই ফ্লাইট ধরতে পারছিলেন না। পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ না থাকার কারণে অনেকেই বিপাকে পড়েন। লম্বা লাইন দিতে হচ্ছিল যাত্রীদের। তাছাড়া যে সার্ভারে পরীক্ষার ফল আপলোড করতে হয় সেটি প্রায়শই ডাউন থাকার কারণে দেরি হয়েছে, বলে এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
দুই দিন আগেই সার্ভার ডাউন থাকার কারণে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট ধরতে পারেননি বেশ কটি ফ্লাইটের অনেক যাত্রী। বিশেষজ্ঞরা করোনা পরীক্ষার জাল-জালিয়াতি সার্টিফিকেট নিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূতি নস্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক পরীক্ষা থেকে সরে আসায় বিদেশ যাওয়ার জন্য করোনা পরীক্ষায় জাল-জালিয়াতি আরো বাড়বে। এতে আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে পারে দেশের ভাবমূর্তি। ইতালি থেকে বাংলাদেশী যাত্রীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় যা ক্ষুন্ন হয়েছে তা উদ্ধারের জন্য চেস্টা করে যাচ্ছে সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।