পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৫%-এ বেশী বৃদ্ধি পেয়ে ১০৬ তে উন্নীত হবার পাশাপাশি পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এ অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮০, মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বাদে অন্য ৫টি জেলাতেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ কর্মী, ব্যাংকারসহ সরকারী-অধাসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধিক্য রয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন অক্রান্তসহ দক্ষিণাঞ্চলে মোট সংখ্যাটা দাড়িয়েছে ৫৭৭৬। মৃত্যুর তালিকায়ও ১১৫ জনের নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। যারমধ্যে চলতি মাসেই ২৬১৪ জন আক্রান্ত ও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনসহ মোট ৩ হাজার ৫৩৪ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথা জানানো হয়েছে।
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরিক্ষায় ৯৫ জনের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। অপরদিকে ভোলা জেলা হাসাপাতালের ল্যাবে ৩১টি নমুনা পরিক্ষায় ৭ জনের পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ছোট জেলা ঝালকাঠীতে করোনা মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৪৭৪। তবে নতুন কোন মৃত্যু না হলেও জেলাটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন নতুন ১২ জনসহ মোট ২৭৬।
পটুয়াখালীতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৭ থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ১৪’তে উন্নীত হবার ফলে মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০১৭’তে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলা সদরে ১ জনসহ জেলাটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। মৃত্যু হার প্রায় ৩%-এর কাছে। আর সুস্থ হয়ে ওঠার হারও ৬০%-এর বেশী, ৬১৮জন। বরগুনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৮ থেকে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪’তে উন্নীত হবার ফলে মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬২৭। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মৃত্যু হার ২%-এ বেশী। নতুন ১৪ জনসহ ৩৬২জনের সুস্থতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
পিরোজপুরের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। জেলাটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ২১ থেকে ২৫-এ উন্নীত হবার পাশাপাশি জেলার মঠবাড়ীয়াতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এ জেলাটিতে ৭০৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হল। মৃত্যু হার প্রায় ২%-এর কাছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবনুযায়ী নতুন ২৪ জনসহ জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৩৮৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থতার হার প্রায় ৫৫%।
ভোলাতেও গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৪ থেকে ৭-এ উন্নীত হবার ফলে মোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫১১, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তবে গতকাল নতুন কারো সুস্থ হয়ে ওঠার খবর না থাকলেও বুধবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৩৬৭।
দক্ষিণাঞ্চলে করোনার হটস্পট বিভাগীয় সদর বরিশাল এখনো সংক্রমণে শীর্ষে থাকলেও বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩৯ থেকে ৩১ জনে হ্রাস পেয়েছে। ফলে সর্বমোট সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৪২৬। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। মৃত্যু হার প্রায় ১.৭৭%। তবে জেলার আক্রান্ত ও মৃতের সিংহভাগই বরিশাল মহানগরীর। এখনো গোটা মহানগরীর প্রতিটি এলাকাতেই প্রতিদিন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী নতুন ৪৯ জন সহ জেলায় মোট ১ হাজার ৪৭৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তবে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করেনা ওয়ার্ডে বুধবার সন্ধায় পটুয়াখালীর গলাচিপার ৭০ বছর বয়স্কা এক নারীকে ভর্তি করার সোয়া ঘণ্টার পরেই মৃত্যুবরণ করেন। এ ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘণ্টায় মোট একজনকে ভর্তি করা হলেও সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৩ জন। বর্তমানে ওয়ার্ডটিতে চিকিৎসাধীন ৩৭জন। অপরদিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নতুন ৮ জনকে ভর্তি করা হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫জন। এ ওয়ার্ডেও ৩৭ জন চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। হাসপাতালটির দুটি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় দুজনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানায়, গোপালগঞ্জে নতুন করে ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৫৬২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১১৫ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪১৮ জন। গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২৮ জন। মুকসুদপুরে আত্মহত্যা করেছে ১ করোনা রোগী।
বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ১৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২ জন, কোটালীপাড়ায় ৫ জন, ও মুকসুদপুরে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৭৪৫৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ৫৩৬ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৫১ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২৫১ জন, কাশিয়ানীতে ২৫৮ জন ও মুকসুদপুরে ২৬৬ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক , নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ১১৭ জন ।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো ৪৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিসিআর ল্যাবে ২৯ জুলাই মোট ৩৭৩টি নমুুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া ১৭৯, চুয়াডাঙ্গা ৮৮, ঝিনাইদহ ৮২ ও মেহেরপুর ২৪ নমুনা ছিলো। তাতে কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো ৪৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার ৩২ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৩জন, মিরপুর উপজেলায় ৭, কুমারখালী উপজেলায় ৩ জন ও ভেড়ামারা উপজেলার ৩ জন। জেলায় এ নিয়ে ১ হাজার ৫২৭ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হলেন আর মারা গেছেন ৩২ জন।
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে :
নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৮৮০ জনে। নতুন করে সোনারগাঁও উপজেলায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, এনিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু ১২৬ জনের।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য জানান, রাজশাহী বিভাগে আরও ২৫৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ দিন ১৫৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তিনি জানান, বুধবার বিভাগের রাজশাহীতে ৮০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৮ জন, নওগাঁয় ১৩ জন, নাটোরে ৩৮ জন, বগুড়ায় ৫০ জন, সিরাজগঞ্জে ২৩ জন এবং পাবনায় ২১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৮৮ জন।
সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৩৭ জন শনাক্ত হয়েছেন বগুড়ায়। এছাড়া রাজশাহীতে ৩ হাজার ৫৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪৮৮ জন, নওগাঁয় ৯৩৬ জন, নাটোরে ৪৭৭ জন, জয়পুরহাটে ৭০৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৩৮৪ জন এবং পাবনায় ৮৪৩ জন শনাক্ত হয়েছেন।
বুধবার বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে এখন মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৬৯ জন। এর মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীতে ২৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয়জন, নওগাঁয় ১৪ জন, নাটোরে একজন, জয়পুরহাটে তিনজন, সিরাজগঞ্জে ১১ জন এবং পাবনায় ৯ জন করে করোনা রোগী মারা গেছেন।
বুধবার সুস্থ হওয়া ১৫৫ জনের মধ্যে ৮৭ জনের বাড়ি বগুড়া। এ ছাড়া দিন রাজশাহীর ৩৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২ জন, নওগাঁর সাতজন, নাটোরের আটজন, বগুড়ার ৩৮ জন এবং সিরাজগঞ্জের চারজন সুস্থ হয়েছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা জয় করেছেন ৬ হাজার ৬৩৭ জন।
এর মধ্যে রাজশাহীর ১ হাজার ২৫৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২০৬ জন, নওগাঁর ৭১১ জন, নাটোরের ২২০ জন, জয়পুরহাটের ২০৬ জন, বগুড়ার ৩ হাজার ১৯১ জন, সিরাজগঞ্জের ৪৪৪ জন এবং পাবনার ৪০৩ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। বিভাগে এখন হাসপাতালে আছেন ১ হাজার ২০১ জন।
রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ধিরাজ কুমার রায় বাবলু (৭২) নামে এক হোমিও চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌর এলাকায়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, হোমিও চিকিৎসক ধিরাজ কুমার রায় করোনা পজেটিভ ছিলেন। মৃত্যুর পর তার লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফনের জন্য স্বজনদের বলা হয়েছে।
রাজশাহীতে এ নিয়ে করোনায় ২৪ জনের মৃত্যু হলো। জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৫ জন করোনা রোগী। এদেও মধ্যে ১ হাজার ২৫৬ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা করোনার সঙ্গে লড়ছেন।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আব্দুল খালেক (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোরে হাসপাতালের আইসোলেশনে তিনি মারা যান। মৃত আব্দুল খালেক কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ফকির আহম্মেদের ছেলে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছিলেন আব্দুল খালেক। তিনি বৃহস্পতিবার মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-সর্দি নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবির জানান, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার রাত ৯টার দিকে নবিছদ্দীন মন্ডল নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে এরশাদুল করিম বিপুল (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিলমারী উপজেলার বালাবাড়িহাট রেল স্টেশন সংলগ্ন শিকারপাড়ার সফি উদ্দিন আহমেদের ছেলে বিপুল। বিপুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ আগ থেকে জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হন বিপুল। এরপর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। বৃহস্পতিবার সকালে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি।
কুমিল্লা : কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে করোনার আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন দুজন। এছাড়া করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৪ জন। গতকাল হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। করোনার ভাইরাসের হটস্পট কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় একজন ও উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।