পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেলিম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। তার আগে নিয়োগ করা হচ্ছে প্রশাসক। তার অধীনে একটি পরিষদও গঠন করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটির দায়িত্বে কে আসছেন তা নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে। বতর্মান মেয়র, না আওয়ামী লীগের অন্য কোন নেতা, নাকি প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা-প্রশাসকের চেয়ারে কে বসছেন তা নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই রাজনৈতিক সচেতন মহলে।
এদিকে বিদায় বেলায় মেয়র আ জ নাছির উদ্দীনের সাফল্য, ব্যর্থতা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা। মেয়র নিজেও প্রতিদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সাফল্য তুলে ধরছেন। যা করতে পেরেছেন তার বর্ণনা দিচ্ছেন, যা করা হয়নি তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, তার সাফল্য-ব্যর্থতার বিচার করবেন নগরববাসী। তবে দায়িত্বপালনে তার আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলো না।
গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। ৫ আগস্টের আগে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন মেয়াদ শেষে বর্তমান পরিষদের দায়িত্বে থাকার কোন সুযোগ নেই। এ পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। তিনি আরও জানান, প্রশাসকের দায়িত্বে কে আসছেন তা চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আইনে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা নন এমন ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ করার বিধান থাকায় প্রশাসক পদে দলের কোন নেতা আসতে পারেন বলেও জোর গুঞ্জন চলছে। কেউ কেউ বলছেন এ পদে মেয়র আ জ ম নাছির আসতে পারেন। কারণ চসিক নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। আবার কবে নাগাদ সিটি নির্বাচন হবে তাও অনিশ্চিত। এ অবস্থায় চলমান উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা বিশেষ করে করোনা মোকাবেলায় নেয়া কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তাকে এই পদে রাখা হতে পারে। তবে দলের একটি অংশ এই পদে অন্য নেতাদের দেখতে চান। মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা এই পদে আসতে নানা লবিং তদ্বির শুরু করেছেন বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদায় বেলায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বিগত ৫ বছরের কার্যক্রম নিয়েও নানামুখি আলোচনা চলছে। ভোটের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতির কতটুকু তিনি বাস্তবায়ন করেছেন তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তার কাছে চাটগাঁবাসীর প্রত্যাশাও ছিলো বেশি। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, নগরীকে বিলবোর্ডের জঞ্জালমুক্ত করা, ডোর টু ডোর ময়লা সংগ্রহ এবং রাতের বেলায় বর্জ্য অপসারণ ও সড়কে আলোকায়ন মেয়রের বড় সাফল্য। তবে পানিবদ্ধতার মতো বড় সমস্যা সমাধানে তিনি কিছুই করতে পারেনি, কারণ এ প্রকল্পটি দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএকে। তবে জনপ্রতিনিধি হিসাবে এর দায় তাকেই নিতে হয়েছে। নগরীর সড়ক সংস্কার, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ধীরগতির কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিমানবন্দর সড়কের ছোট তিনটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া নির্দেশ দিতে হয়েছে। পোর্ট কানেকটিং রোড, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কে বছরের পর বছর অচলাবস্থা জনমনে ক্ষোভ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার মানুষে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক টানা তিনবারের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে বিরোধ এবং হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে নগরবাসীর অসন্তোষ ছিলো মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের জন্য বড় ধাক্কা। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও করোনা মহামারীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সার্বক্ষণিক রাস্তায় থেকে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এখনও তিনি মাঠে সক্রিয় আছেন।
অনেক সাফল্যের কথা মেয়র নিজেও বলছেন। তবে যা করতে পারেনি, তার কারণও তিনি ব্যাখ্যা করছেন। তিনি বলছেন, প্রায় তিনশ’ কোটি টাকার দায় দেনার ভার নিয়ে দায়িত্বগ্রহণ করে তিনি সিটি কর্পোরেশনকে স্বাবলম্বী করেছেন। পাঁচ বছরে ছয় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করছেন। ভোটের আগে দেয়া ৩৬ দফার অন্যতম ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে রূপান্তরে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন তিনি। অনেক এলাকায় সড়ক ও ফুটপাত নান্দনিক করা হয়েছে। মেয়র দাবি করেন, কর্পোরেশনের মূল যে তিনটি কাজ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক সংস্কার ও আলোকায়ন এ তিনটি কাজেই তিনি সফল হয়েছেন। গেল পাঁচ বছরে কর্পোরেশন থেকে বেতন ভাতাসহ কোন সুবিধা তিনি নেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।