Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম পালনে বাধা ও শঙ্কা দূর করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫০ পিএম, ২ আগস্ট, ২০১৬

ইনকিলাব রিপোর্ট : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও জাগরণ বাস্তবে রূপায়িত হচ্ছে। দেশের সব মহলে বিষয়টি সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্য এ জাগরণের ভেতর নতুন ইস্যু হিসেবে অনেকটাই জায়গা দখল করে নিয়েছে দেশের ১৯টি জেলার বন্যা পরিস্থিতি। এসে গেছে শোকের মাস আগস্ট। নাগরিকদের মনে আরো কিছু বিষয় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিচ্ছে। সমাজের নানা শ্রেণী, পেশা ও বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে এ ধরনের বক্তব্য।
দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয় ড. আবদুল মজিদের। অবসরপ্রাপ্ত এ শিক্ষাবিদ বলেন, বাংলাদেশ হাজার বছর ধরে তার ধর্মীয় মানবিক চেতনায় টিকে আছে। সারা পৃথিবীর মানুষ এখানে যুগে যুগে ছুটে এসেছিল এর সুখ-সমৃদ্ধি আর সম্প্রীতির টানে। এখনও বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ এটি। ধর্মীয় চেতনার ফলেই এখানে শান্তি, এখানে সুখ। এর সম্প্রীতি, স্বাধীনতা, সমৃদ্ধি সবই ধর্মীয় চেতনার দান। ধর্মকে ছোট করে, আঘাত করে বা বর্জন করে এ দেশে শান্তি হবে না। সুখ, সমৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বাধীনতা, সম্প্রীতি কিছুই থাকবে না। ৩১ জুলাই রাজধানীর এক সেমিনারে কমিউনিস্ট নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ইসলাম পছন্দ না করে ধর্মহীনতা পছন্দ করলে সব সমস্যার সমাধান দ্রুত হয়ে যেত। এসব কথা উস্কানিমূলক। ধর্মপ্রাণ প্রধানমন্ত্রীকে এসব চিন্তার লোকদের থেকে দূরে থাকতে হবে। নাস্তিক, বাম ও উগ্রবাদীদের নীতি গ্রহণ করলে বাংলাদেশের সর্বনাশ চূড়ান্ত হয়ে উঠবে। ধর্মবিদ্বেষী মৌলবাদীদের চেতনা আওয়ামী লীগের চেতনা নয়। এটি বাংলাদেশের জনগণের উদার ধর্মীয় চেতনার দল। বাম ঘরানার মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, মার্কিনিরা সেক্যুলার বাংলাদেশ চায় না, তারা চায় মডারেট মুসলিম কান্ট্রি। বিপ্লবী বামেরা এখন বুর্জোয়া মন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের চরিত্র নির্ধারণ করতে বসেছেন। যেন এ দেশ সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের হুকুমে চলবে বলেই তারা ধরে নিয়েছেন। বাংলাদেশ তার ধর্মপ্রাণ মানুষের নিজস্ব ভাবধারা ও আশা-আকাক্সক্ষার আলোকে চলবে, ধর্মহীন বা নাস্তিক্যবাদী নীতিতে নয়। দিল্লি বা ওয়াশিংটনের তাঁবেদারি করা বাংলাদেশের কাজ নয়।
কলেজ শিক্ষিকা নওরোজ ফাতিমা বলেন, ধার্মিক প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে চলছে, তখন তার সমর্থক ও আস্থাভাজন পরিচয়ে একশ্রেণীর লোক সমাজকে একের পর এক ভুল বার্তা দিয়েই চলেছে। একবার এক উপদেষ্টা অনুযোগ করেছিলেন, দিন দিন দেশে বোরকা বাড়ছে। মেয়েরা হিজাব ব্যবহার করছে। এরা নারী-শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ইভটিজিং ইত্যাদির হার বাড়লে উদ্বিগ্ন হয় না, তাদের দুশ্চিন্তা নারীদের শালীনতা ও ধর্মীয় রীতি নিয়ে। সমকালের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার সেদিন এক মিটিংয়ে বললেন, কিশোরীরা হিজাব পরছে, এটি তো আমাদের সংস্কৃতি নয়। গোলাম সারোয়ার কি বলবেনÑ কোনটি আমাদের সংস্কৃতি? মিনি স্কার্ট, সিঁদুর, চন্দনতিলক, টপলেস, জিনস, শর্টসÑ এসবই কি আমাদের সংস্কৃতি? তারা কেন টিশার্ট, প্যান্ট, টাই, স্যুট পরেন, বাঙালি সাজতে লুঙ্গি-গামছা পরছেন না কেন? আমরা হিজাব বা বোরকা পরলে তাদের কোন সংস্কৃতি নষ্ট হয়? এসবই উদ্দেশ্যমূলক কথাবার্তা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেছেন, পাড়ায় পাড়ায় মদের দোকান খুললে না কি সন্ত্রাসবাদ দূর হবে। কী সর্বনাশা প্রস্তাব! এমনিতেই ডাইল, ইয়াবা, হেরোইনে তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসের পথে। মদে সয়লাব করে দিলে না কি তরুণরা ভালো হবে। ধর্মীয় বইপত্রকে আখ্যা দেয়া হচ্ছে জিহাদি বই। তারা চাচ্ছেন এ দেশে যেন ধর্মপালনের অধিকার মুসলমানদের জন্য সঙ্কুচিত হয়ে যায়। হাজার বছরের মুসলিম সংস্কৃতি তাদের আপন হলো না, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিজাতীয় বিধর্মী সংস্কৃতির দালালি করছেন। তারা খোলামেলা পোশাকে নারীদের দেখতে চান। শালীন পোশাক তাদের ভালো লাগে না।
ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান বলেন, দেশে এখন শঙ্কা ও সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবখানেই মানুষ আতঙ্কে থাকে। তবে ধর্মীয় ক্ষেত্রে ভয়ভীতি বেশি। তরুণ-যুবকরা দাড়ি রাখতে ভয় পাচ্ছে, অথচ এটি ধর্মীয় একটি আমল। দাড়ি রাখার সুযোগ প্রতিটি নাগরিককেই দিতে হবে। নামাজ, টুপি, দাড়ি আজ সন্দেহের বিষয় হয়ে গেল কেন? ১৫ কোটি মুসলমানের দেশে কেন কেউ নামাজ পড়তে ভয় পাবে, ধর্মীয় বইপত্র পড়তে ভয় পাবে, কেন ধর্ম পালনে সন্ত্রস্ত হবে? যুবক ছেলেরা দাড়ি-টুপির কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের বাড়তি দুর্র্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। ইসলামী ভাবধারা লালন করে এখন ছাত্রছাত্রীরা অহেতুক হেনস্থা হচ্ছে। বোরকা ও হিজাব পরা মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। সারা দেশে ধর্মীয় সংস্কৃতির ধারক শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারি ও অহেতুক সন্দেহ অভিভাবক ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে মনস্তাত্ত্বিক নিপীড়নের মধ্যে রাখা ছাড়া আর কিছু নয়। অথচ জঙ্গি যারা হয়েছে তারা একতরফা কোনো ধর্মপ্রাণ সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা পরিবারের সন্তান নয়। নানারকম পর্যায় থেকেই যারা জঙ্গি হওয়ার হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট রহমতুল্লাহ বলেন, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় ধর্মীয় অধিকার বা ধর্ম পালনে বাধা দেয়া কোনো কাজের কথা নয়। এ ধরনের অব্যবস্থা মোকাবেলার দায়িত্বও প্রধানমন্ত্রীরই, কেননা তিনি ধার্মিক মানুষেরও অভিভাবক। নিজেও ধর্মপ্রাণ ও ধর্মীয় মূল্যবোধের রক্ষক। হাজার বছরের নিরাপদ বাংলাদেশে কিছু সন্ত্রাসীর অপকর্মে কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারী-পুরুষ তাদের ধর্মীয় কাজকর্ম, পোশাক, সংস্কৃতি ও পরিচয় নিয়ে আতঙ্কিত ও অনিরাপদ থাকবে, এমনটি তিনি কেন মেনে নেবেন? নেত্রীকেই এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে। জঙ্গি বইয়ের তালিকা করে ধর্মীয় অন্যান্য বইপত্র পড়ার সুযোগ দিতে হবে। বখাটে, মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসীদের চেয়ে ধার্মিক ছাত্র, যুবক ভালো এ কথা তাকেই বলতে হবে।
রাজধানীর মসজিদ বায়তুল আমানের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা আবদুর রকিব বলেন, খুতবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি, বাংলা বয়ানে সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু আলোকপাতের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলা হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তার কর্মকর্তারা অমান্য করছেন। দেশের বহু ইমামকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, অপমান, বরখাস্ত এমনকি গ্রেফতার নির্যাতন পর্যন্ত করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনের কাজে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা ইমাম-আলেম ও পীর-মাশায়েখদের। অথচ একশ্রেণীর ধর্মবিদ্বেষী সুযোগ বুঝে মুসলিম ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। ইমাম, খতিব, আলেম-ওলামার ওপর উৎপীড়ন চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, এসব অন্যায় থেকে সংশ্লিষ্টদের নিবৃত্ত করুন। আটক ইমামদের মুক্তির ব্যবস্থা করুন। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা ও নামাজ বন্দেগির প্রতি উৎসাহিত করে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করুন।
জাতীয় মুসল্লি পরিষদের নেতা ইবরাহীম খলিল চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জাতীয় ঐক্যও হয়েছে। এ পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বর্ণচোরা শত্রুদেরও দমন করতে হবে। বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনে আগে আগে রয়েছেন বিতর্কিত আলেম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। যতদূর জানি দেশের ৬৩ জেলার সাড়ে পাঁচশ’ স্থানে একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইদের তিনিই অর্থ জোগান দেন। তার অ্যাকাউন্টে তখন অস্বাভাবিক লেনদেন ধরা পড়ে। ঘটনার পরপরই তাকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ কি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে? বিএনপি-জামায়াত আমলে রাজধানীতে বিশাল জায়গা বরাদ্দ পাওয়া ও ৬৩ জেলায় বোমা মেরে দেশে জঙ্গিবাদ তৈরির কাজে অর্থ জোগানদাতা বলে কথিত এ ব্যক্তিটি বর্তমানে সরকারের এত শুভাকাক্সক্ষী হয়ে গেল, হঠাৎ আবার কোন দিক থেকে কী করে বসে তা মাথায় না রেখে নিশ্চিন্তে তার ওপর ভরসা করা কতটুকু ঠিক হচ্ছে ভেবে দেখা উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকা, লন্ডন কানেকশন নিয়ে এ ব্যক্তির পক্ষে যে কোনো আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের এজেন্সি নেয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়ার নয়। সরকার জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ খুঁজে পাচ্ছে না, এই ব্যক্তির ব্যাংক লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও বৈদেশিক নেটওয়ার্ক খতিয়ে দেখলে অনেক কিছুই পাওয়া যাবে বলে দেশের অধিকাংশ আলেম বলাবলি করেন। প্রসঙ্গক্রমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি শামীম মো. আফজালের নামও এসে যায়। খুতবা নিয়ে বিরাট সংকট তৈরি ও দেশের ইমাম-আলেমদের ওপর অযৌক্তিক অত্যাচার-নির্যাতন চালানোর ঘটনায় তিনি যে ক্ষতিটি করেছেন আগামী তিন বছরেও সরকারের পক্ষে তা পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। প্রধানমন্ত্রীর অগোচরে সংসদীয় কমিটির নির্দেশ অগ্রাহ্য করে করা তার এ অপকর্মের দায়সহ এই কর্মকর্তার অসংখ্য অপকীর্তির ভার সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। এসব অপগন্ডের দায় কাঁধে না নেয়াই প্রধানমন্ত্রীর জন্য উত্তম। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন ততই মঙ্গল।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বিক্রমপুরের একজন প্রবীণ বস্ত্র ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক জাসদ নেতা যিনি বর্তমানে মহাজোটের তরফে সংসদ সদস্য মন্তব্য করেছেন, আগামী তিন মাস সরকার নির্মমভাবে জঙ্গিদের নির্মূল করবে। জঙ্গি বলতে তারা কাদের সাব্যস্ত করছেন এটাও প্রশ্ন। এ পর্যন্ত জঙ্গি ধরার নামে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ধরা হয়েছে। এদের মধ্যে জঙ্গি অভিযোগ আছে শ’দুয়েকের ওপর। নানা জায়গায় মেরে ফেলা হয়েছে শত শত মানুষ। এরা সবাই কি জঙ্গি? বিরোধী মতের লোকদের মেরে ফেলাই কি জঙ্গি দমন? বামপন্থীরা তো ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করাই তাদের মিশন বানিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ তো এমন দল নয়। এটি তো উদার ও মধ্যপন্থী মুসলমানদের ঐতিহাসিক সংগঠন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন, তিনি যেন বঙ্গবন্ধুর নীতির ওপর অটল থাকেন। তাকে হত্যা ও ধ্বংসে উস্কানিদাতা বাম নাস্তিক্যবাদীদের নীতি যেন অনুসরণ না করেন। ইনু, মেনন, মতিয়ারা তো আওয়ামী লীগের বন্ধু নয়, হতে পারে না। আমরা মুসলমানরা তাদের হিংস্র খুনি জঙ্গি মনোবৃত্তিকে ভয় পাচ্ছি। খাঁটি আওয়ামী লীগারদের আদর্শ অনুসরণ করে নাস্তিক বামদের লম্ফঝম্ফ নিয়ন্ত্রণ করুন। তাহলেই জঙ্গিবাদ নির্মূলের পথ সহজ হবে।
মাদরাসার শেষ বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী সংগ্রামে আমরাও আছি। মানববন্ধন ও মিছিল করেছি। সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তা খুবই ভালো। তবে নিরীহ লোকেরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন, এটি বন্ধ করা দরকার। সরকারের উচিত ইনসাফ ও সত্যতার মধ্য দিয়ে সমস্যার মোকাবেলা করা। সরকার সবার অভিভাবক, তার অনিয়ম, দুর্নীতি ও মিথ্যা আল্লাহর নিকট অত্যন্ত ঘৃণিত। জুলুম কখনো সফল ও দীর্ঘায়ু হয় না। সরকারকে বলব, জাতির ন্যায্য দাবি ও প্রতিবাদের দিকে খেয়াল করুন। আলেম-ওলামাদের নির্দেশনা ও পরামর্শ শুনুন। নয়তো সব সাফল্য হারিয়ে যাবে। দেশের সব আলেম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ এখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। নাস্তিক্যবাদী প্রচারণা, কোরবানি সংকোচন, শিক্ষা আইন, পাঠ্যসূচিসহ ধর্মীয় অঙ্গনে ৯২ ভাগ মানুষের ন্যায্য অধিকার নিয়ে আলেমদের নানা সময়ে উত্থাপিত দাবিগুলোর তিনি কী সুরাহা করেন, এর ওপরই নির্ভর করবে আগামীদিনে আলেম-ওলামাদের কার্যক্রম। ধর্ম পালনে বাধা-বিপত্তি দূর হলেই তারা খুশি।



 

Show all comments
  • আশরাফ ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৩৬ পিএম says : 0
    নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা ও নামাজ বন্দেগির প্রতি উৎসাহিত করে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ম পালনে বাধা ও শঙ্কা দূর করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ