পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানের বাড়িসংক্রান্ত দুদকের করা মামলা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। তবে তার ভাই মনজুর আহমদের নামে বাড়িটির মিউটেশন (নামজারি) করার জন্য হাইকোর্টের দেয়া রায়ও বাতিল করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে ভাইয়ের নামে দখল করা বাড়িটি মওদুদ আহমদকে ছাড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের পক্ষের আইনজীবীরা। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকে ও রাষ্ট্রপক্ষের করা তিনটি আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাজউক ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান। মওদুদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। মওদুদ নিজেও শুনানিতে অংশ নেন।
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, মনজুর আহমদের নামে নামজারি করতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিলে রাজউকের করা আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে দুদকের মামলাটির অভিযোগ আমলে নেওয়া বৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে মওদুদ ও তার ভাইয়ের করা আপিল মঞ্জুর করায় দুদকের মামলাটিও বাতিল হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ব্যারিস্টার মওদুদ রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, সাত বছর পর প্রতিহিংসাবশত সরকার আপিল করেছে। ১৯৮১ সাল থেকে আমরা এই বাড়িটিতে বসবাস করছি। এটি ক্রয় করা বাড়ি, সরকারের বাড়ি নয়। আপিল বিভাগের রায় দেখে আমরা অবশ্যই রিভিউ করব। মওদুদ আহমদ রিভিউ করলে কী হবেÑএমন প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, এটি তার আইনগত অধিকার। কিন্তু রাজউক ও সরকার পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেন। রাজউক এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ আপিল বিভাগ রাজউককে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর চলতি বছর এ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।
গুলশানে বসবাসরত মওদুদ আহমদের বাড়ির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক এহসান। একপর্যায়ে বাড়িটির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের স্ত্রীরও নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করলে ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ তার ইংল্যান্ড প্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি ভুয়া আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। এ অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদ ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মওদুদ ও তার ভাই মনজুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে মওদুদ আহমদের পক্ষে বাড়িটি সরকারি সম্পত্তি নয়, ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করা হয়। আর মওদুদ আহমদের ভাই ব্যক্তি মালিকের কাছ থেকেই বাড়িটি ক্রয় করেছেন বলেও দাবি তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।