পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক হয়রানি রোধে কল সেন্টার, হেলপ লাইন ও তাৎক্ষণিক প্রতিকারের বিধান পুনরায় সচল করার দাবি জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ভোক্তা হয়রানি রোধে বাংলাদেশ বাংকের হেলপ লাইন অকার্যকর হওয়ায় ক্যাবের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনাকে দুঃখজনক এবং ব্যাংক ও আর্থিক সেক্টরে অনিয়ম ও লুটপাটের সুযোগ করে দেয়ার শামিল বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা ভোগান্তির শিকার হলে ১৬২৩৬ এ নাম্বারে কল করে ভোগান্তির কথা জানাতে পারতেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দেশনা প্রদান করতেন এবং গ্রাহকরা তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতেন। এ পদ্ধতির প্রবর্তক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। উনার পদত্যাগের পর এ সেবাটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় ফোন করেও সহায়তাকারী পাওয়া যায় না, অভিযোগ করলেও তার কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ব্যাংক ব্যবস্থাকে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছিল এবং দেশের সব নাগরিকের ব্যাংকের হিসাব ও লেনদেনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিদ্ধান্তহীনতার যথাযথ তদন্তপূর্বক এর নেপথ্যদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন। বিবৃতিদাতারা হলেনÑ ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিজিবি অভিযানে এক মাসে ৪৬ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৪৫ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে। গত জুলাই মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৪ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২৬৮ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে (জানুয়ারি হতে জুলাই-২০১৬) বিজিবি সর্বমোট ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৮১ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া গত ৭ মাসে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭,২৮,৪৮৯টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১,৪৩,২১৫ বোতল ফেনসিডিল, ১১,৪৪১ কেজি গাঁজা, ১,৬১,৩৯৫ বোতল বিদেশী মদ, ১৪ কেজি ৯২ গ্রাম হেরোইন, ৪,৬৬,১২৩ পিস বিভিন্ন প্রকারের উত্তেজক ট্যাবলেট, ৩৪,৮৪৩টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৮৬,৬৬,০৩৫টি বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট। এছাড়া আটককৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১,০০,৩৭২টি শাড়ি, ৩১,৬০০টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৮,৮৬,৫৪৯ মিটার থান কাপড়, ৩৭,০৭৮ সিএফটি কাঠ, ৮ কেজি ৭২৭ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৩টি কষ্টিপাথরের মূর্তি। বিজিবি গত ৭ মাসে ৪৫টি পিস্তল, ৩১টি গান, ৩,৯৪৫ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৪৫টি ম্যাগাজিন, ৭টি ইলেকট্রনিক ডেটনেটর এবং ৪৯ কেজি ৭০০ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার করেছে। গত ৭ মাসে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১,০০৮ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৮২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ২,৭০৭ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।