পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার চারপাশ। ফুলে-ফেঁপে উঠছে চারপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষা, বালু নদসহ নীচু এলাকা। পানির নীচে চলে গেছে অনেক স্থাপনা। দিন যত যাচ্ছে বিপৎসীমার ওপরে পানি ওঠা নদীর সংখ্যা বাড়ছেই। রাজধানীর সিটি কর্পোরেশনের একাংশ ডেমরা, জেলার দোহার, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজংয়, টঙ্গিবাড়ী ও শ্রীনগরের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই পানি আর পানি। বৃষ্টির পানি ডিএনডি এলাকা থেকে নেমে যেতে না পারায় বিস্তীর্ণ এলাকা পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানি ইতোমধ্যে বেড়েছে। ঢাকার দোহার ও মুন্সীগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে এরই মধ্যে বন্যার প্রভাব পড়েছে। বন্যা ঢাকার নিম্নাঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জ প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা অনেক বেশি। ঢাকা মহানগরীর পূর্বদিকে শহররক্ষা বাঁধ না থাকায় পানির চাপ বেশি হলে ডেমরা, বনশ্রীসহ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতিসংঘ আভাস দিয়েছে, ১৯৮৮ সালের পর বাংলাদেশের এবারের বন্যা বেশি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। চলতি জুলাই পেরিয়ে আগস্টের প্রথম সপ্তাহেও বন্যার পানি থাকতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চলে। জাতিসংঘের মতে, বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাদের হিসাবে এখন পর্যন্ত ১৪ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। বাস্তবে যদিও এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোন্ডঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) তথ্য জানিয়েছে, সামনের সপ্তাহে বাংলাদেশের মোট জেলার অর্ধেক বন্যায় কবলিত হবে।
রাজধানীর আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলোর ইনকিলাবের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ঢাকার পাশের জেলা মুন্সীগঞ্জে সরকারি হিসাবে প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। তবে বেসরকারিভাবে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। রাজধানীতে বৃস্টি হওয়ার পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানি ঢুকছে বাসাবাড়িসহ ঘরের ভেতর। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। নদীভাঙা লোকজন জায়গা ভাড়া করে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। লৌহজংয়, টঙ্গিবাড়ী ও শ্রীনগরের যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই পানি আর পানি। প্রতিদিনই এসব এলাকার নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে ভাসছে লৌহজং ও শ্রীনগরের গ্রামের পর গ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজারেরও বেশি পরিবার। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যসংকট।
মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর। শিবালয়ের আরিচা ঘাট পয়েন্টে গতকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া ঘিওর, সাটুরিয়া ও সদর উপজেলার আংশিক দুই দিন ধরে বন্যাকবলিত হয়েছে। এছাড়া গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকার নিচু সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি উঠেছে। এতে পথচারীরা চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় প্রতিদিনই পানি ঢুকে পড়ছে। গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়ছে শত শত মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।