Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফল আমদানি বাড়ছে

৬ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ২১৩ টন

রফিকুল ইসলাম সেলিম : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেশে ফল আমদানি বাড়ছে। করোনাকালে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কমলা, মাল্টা, আঙ্গুরের মতো ফল আমদানি বেড়ে গেছে। আসছে আপেল- নাশপাতিও। এ পাঁচটি ফলের আমদানি বেড়েই চলেছে। গত ছয় মাসে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দুই লাখ ১৩ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন ফল আমদানি হয়েছে। যার মূল্য ৮৬৫ কোটি টাকা।

আগের বছরের এ সময়ের তুলনায় ৩৪ হাজার ৩০৩ মেট্রিক টন বেশি ফল আমদানি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৬৩ কোটি টাকার বেশি ফল আমদানি হয়। গত বছরের তুলনায় ফল আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন করোনার এ সময়ে বিলাসী পণ্য আমদানিতে ভাটা পড়লেও ব্যতিক্রম ফল আমদানিতে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানুষ ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ায় চাহিদা বেড়ে গেছে। আর তাই দেশে ফলের চলমান ভরা মওসুমেও রের্কড ফল আমদানি হয়েছে।

ফল ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে স্থলবন্দর দিয়েও বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি হচ্ছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আসছে। ফল খাওয়া বাড়ছে,তাই চাহিদাও বাড়ছে। তাছাড়া মোটামুুটি কম দামে এসব ফল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আবার ব্যাপক অভিযানের মুখে ফলে ফরমালিনসহ বিষ মেশানের প্রবণতা কমে যাওয়ায় ফলের চাহিদা বাড়ছে। দেশে ফল খাওয়া বিশেষ করে বিদেশে খাওয়া এখন আর বিলাসীতা নয়। করোনা সংক্রমণের পর মানুষ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল হিসাবে কমলা, মাল্টা জাতীয় ফল খাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তাতে চাহিদাও বেড়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থ্যাৎ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দুই লাখ ১৩ হাজার ১০৬ মেট্রিক টন ফল আমদানি হয়েছে। এসব ফলের দাম ৮৬৫ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ৭০৫ টাকা। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে কমলা ৬৬ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন। দাম ২৩০ কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ২২৯ টাকা। মাল্টা আমদানি হয়েছে ২৫ কোটি ৯৯ লাখ তিন হাজার ৮৭২ টাকার সাত হাজার ৫২২ মেট্রিক টন।

আঙ্গুর আমদানি হয়েছে তিন হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন। যার মূল্য ২৯ কোটি এক লাখ ৩০ হাজার ১৮২ টাকা। আপেল আমদানি হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৬৯০ মেট্রিক টন। আমদানিকৃত এসব আপেলের দাম ৫৬০ কোটি ৭২ হাজার ৫১৩ টাকা। নাশপাতি আমদানি হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৫৩ মেট্রিক টন। দাম ১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৮ টাকা।

গেল বছরের একই সময়ে এই পাঁচ রকমের ফল আমদানি হয় এক লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩ মেট্রিক টন। যার দাম ছিলো ৭০১ কোটি তিন লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৫ টাকা। গেল বছরের একই সময়ে কমলা আমদানি হয়েছে ৭২ হাজার ২১৪ মেট্রিক টন। যার দাম ছিলো ২৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। মাল্টা আমদানি হয়েছে আট হাজার ১৯২ মেট্রিক টন। দাম ছিলো ২৮ কোটি এক লাখ ৪৩ হাজার ৩১৪ টাকা।

আঙ্গুর আমদানি হয় ১৯ হাজার ৬৫ মেটিক টন। দাম ছিলো ১৫ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৭২৪ টাকা। আপেল আমদানি হয় ৯৩ হাজার ৪৭৮ মেটিক টন। যার মূল্য ছিলো ৩৯৯ কোটি ৮৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৯ টাকা। গেল বছরের প্রথম ছয় মাসে নাশপাতি আমদানি হয়েছে দুুই হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন। যার মূল্য ছিলো ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৯ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিটামিন-সি

২৪ জুলাই, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ