পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পুরানো ঢাকার একটি বাসায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দেয়াল চাপা পড়ে ময়নুল ইসলাম (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরেক শিশু সন্তানসহ বাবা-মাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে। গতকাল সকাল সোয়া আটটার দিকে বংশালের কসাইটুলি এলাকায় একটি দ্বিতীয় তলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মো. জাবেদ (৩৫) , শিউলি আক্তার (২৫) ও জান্নাত (৪)। তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইফিতা গ্রামে। জাবেদ ও তার স্ত্রী পুরানো ঢাকায় স্কুল ব্যাগ তৈরির কাজ করতেন।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, গতকাল সকাল সোয়া ৮টার দিকে বংশালের কসাইটুলি শামছাবাদ জুম্মন কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ৪১/১ নম্বর বাসার নিচ তলায় রান্না ঘরে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণের ভবনের নিচতলার একটি দেয়াল ধসে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ময়নুলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে। পরে সেখান থেকে তার বাবাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে তার মা ও বোনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, জাবেদের শরীরের ৩৭ শতাংশ, শিউলির ৭০ শতাংশ এবং জান্নাতের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, ওই বাসার গ্যাসলাইনের সমস্যা ছিল। কয়েকদিন আগেও একবার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল সকালে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাসের চাপে অথবা চুলা জ্বালাতে গিয়ে জমে থাকা গ্যাসে এটা হতে পারে। বিস্ফোরণে শুধু ওই ভবনের নিচতলাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই লাইনে থাকা আশপাশের বাসার গ্যাসের পাইপও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাতে ওই ভবনগুলোর দেয়ালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।