পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহাপ্রতারক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার পাশাপাশি আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। রাজধানীর গুলশান ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে অপরাধ জগতের ত্রাসদের সাথে তার সুসম্পর্ক ছিল বলে রিমান্ডে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন তিনি। সন্ত্রাসীদের নিয়ে তিনি প্রায়ই নানা অপকর্মে যেতেন। মিডিয়াকে ব্যবহার করে লোকজনকে ব্ল্যাকমেইলও করতেন তিনি। ডিবির হেফাজতে থাকা সাহেদও এসব কথা অকপটে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই সূত্রটি বলছে, সাহেদ তার অনেক আশ্রয়তাদার নাম বলেছেন। তার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে অ্যাকশনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। অন্যদিকে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে। গতকাল মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র এবং সাহেদকে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এমন একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ডিবিতে ১০ দিনের রিমান্ডে সাহেদ, তার কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতারণা ও অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে রিমান্ডে গত ৬ দিনে তাদেরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ডিবি কাক্সিক্ষত তথ্য আদায় করতে পারেনি। বিশেষ করে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোতে রাজকীয় প্রটোকল নিয়ে তার প্রবেশাধিকার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো বলেন, রিমান্ডের সাহেদ, মাসুদ পারভেজ ও তারেক শিবলীকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা একজন আরেক জনকে দোষারোপ করে নানা তথ্য দিয়েছেন।
সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন একটি সংস্থার এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সাহেদের সাথে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সাহেদ ও তার সহযোগিরা জিজ্ঞাসাবাদে সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়টি অধিক তদন্ত করা হচ্ছে। যেসব সন্ত্রাসীদের সম্পর্কে সাহেদ তথ্য দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, জমি দখল, পাওনাদারকে হুমকি ও টেন্ডার পাওয়ার কাজে সাহেদ সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা নিতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
সাহেদের মামলা তদন্ত করবে র্যাব : প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সাহেদের মামলার তদন্ত র্যাবকে দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়।
র্যাব সদর দফতরের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদকে গ্রেফতারের পরদিন ১৬ জুলাই র্যাবের দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়ে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার মামলার তদন্তের জন্য র্যাবকে বিশেষ অনুমতি দিয়েছে। এখন থেকে র্যাব মামলার তদন্ত করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। সাহেদকেও আনা হয়েছে। রিমান্ডে বাকি দিনগুলোতে সাহেদকে র্যাব-১-এ রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সাহেদের বিরুদ্ধে মেট্রো রেলের সাব-কন্ট্রাক্টরের মামলা : মো. সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন মেট্রো রেল নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ৭৬ জন শ্রমিক ও কর্মচারীদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে। গতকাল মঙ্গলবার ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই নাজমুল হোসেন বলেন, মেট্রো রেল নির্মাণের কাজ করছে এমন একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান মামলা করেছে। মো. রেজাউল করিম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি করেছেন। মামলা নম্বর ২০।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।