পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু তালহা সজীব : শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ভিসি নিয়োগ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে পারবে এমন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দানের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
ভিসি পদে অধ্যাপক মো: শাদাত উল্লা’র ২য় মেয়াদে দায়িত্ব শেষ হওয়ায় নতুন ভিসি নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। কৃষিবিদ গড়ার এই বিদ্যাপিঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন একই আলোচনা কে হচ্ছেন শেকৃবির নতুন ভিসি? ৮৭ একরের এই ক্যাম্পাসে চলছে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (২৫ জুলাই) ভিসি অধ্যাপক মো. শাদাত উল্লা, প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীর মেয়াদ শেষ হয়। ফলে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে কৃষি উচ্চশিক্ষার প্রাচীনতম এই বিদ্যাপীঠ। প্রশাসনিক কাজে বিঘœ ঘটছে। এদিকে এই তিনটি পদ পূরণে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভিসি হওয়ার জন্য যারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা হলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুইঁয়া এবং কৃষি অনুষদের বর্তমান ডীন অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। মূলত এই ২ জনই অধ্যাপককে নিয়েই ক্যাম্পাসে বেশ জোড়েসরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আরও ৬ অধ্যাপক ভিসি পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে জানা গেছে। প্রোভিসি এবং ট্রেজারার পদে আসতে পারেন এমন যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেনÑ অধ্যাপক ড. হযরত আলী, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বেগ, অধ্যাপক ড. সেকান্দার আলী, অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী।
অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অনেক শিক্ষক, ভিসি পদের জন্য শিক্ষামন্ত্রী বরাবর বায়োডাটা জমা দিয়েছি। দায়িত্বশীল মহল অধিক যোগ্যতম ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেবেন। এ পর্যন্ত আমি বিশ^বিদ্যালয়ের অনেক দায়িত্ব পালন করেছি। এই প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট থেকে বিশ^বিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য কাজ করেছি। আমাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিলে এই বিশ^বিদ্যালয় আরও বেশী কৃষি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে এবং সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ইন এগ্রিকালচার হিসেবে গড়ে তুলবো এবং বিশ^বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবো।
অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভুইঁয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ভিসির পদশূন্য থাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তারা বেতন তুলতে পারছেন না। স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকেই যোগ্যপ্রার্থীদের ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষের পদে অতিদ্রুত নিয়োগ দেয়া হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।