পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
না’গঞ্জের সাত খুন মামলা
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় তিন পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিনধার্য করেছেন।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এএসআই মাহবুব মল্লিক, এএসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল মনিরুজ্জামান সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় আদালতে নূর হোসেন, তারেক মুহাম্মদ সাঈদসহ ২৩ আসামি উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, আজ (সোমবার) এএসআই মাহবুব মল্লিক, এএসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল মনিরুজ্জামান সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে মাহবুব মল্লিক ও সিরাজুল ইসলাম ঘটনার পরে আসামিদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করেন। অপরদিকে মনিরুজ্জামান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
পিপি জানান, সাতখুনের ঘটনায় দুই মামলায় মোট ৯৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছেন।
নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তারকে গ্রেফতার
এদিকে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তারকে (৪০) গ্রেফতার করেছে দুদক। প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্প্রতি রাজধানীর রমনা থানায় নূর হোসেন ও তার স্ত্রী রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই রুমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল সোমবার সকাল ৭টায় সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ এলাকার বাসা থেকে দুদকের একটি টিম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু. সরাফতউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের নামে-বেনামে প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২-এর জেল সুপারের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব দেখান। ওই সম্পদ বিবরণীতে তার স্ত্রী রুমা আক্তারকেও একটি বাড়িসহ বেশ কিছু সম্পদের মালিক দেখানো হয়। এর প্রেক্ষিতে রুমার নামে উল্লেখ করা সম্পদগুলো সঠিক কিনা তা জানতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম নোটিশ পাঠায় দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। তদন্ত শুরু করেন দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. জুলফিকার আলী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।