পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুসলিম-আমেরিকান সেনাটি ‘ধর্মত্যাগী’ : আইএস
ইনকিলাব ডেস্ক : ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শাসিয়ে নিহত মুসলিম সেনার বাবা যে পকেটবই সংবিধানটি দেখিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে সেই বইটি এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রীত বইয়ে পরিণত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শাসিয়ে বক্তব্য দিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন ইরাক যুদ্ধে নিহত মার্কিন সেনাবাহিনীর এক মুসলিম সেনার বাবা। তিনি পকেট থেকে মার্কিন সংবিধানের যে ক্ষুদ্র সংস্করণটি বের করে ট্রাম্পকে পড়তে বলেছিলেন সেটা এখন বেস্টসেলার।
ইরাক যুদ্ধে নিহত ওই মুসলিম আমেরিকান সেনা হুমায়ুন খানের বাবা খিজির খান তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে সম্মেলনে বক্তৃতা দেন। তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তার ছেলে মুসলিম এবং সে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প কি করেছেন? তিনি পকেট থেকে সংবিধান বই বের করে ট্রাম্পকে সেটা পড়তে বলার পরামর্শ দেন।
এই ঘটনা খুব সম্ভবত সমস্ত মার্কিনীর মনেই দাগ ফেলেছে। কারণ অনেকেই নিশ্চয়ই সংবিধান পড়েননি। যে কারণে খিজির খানের বক্তব্যের পরপর মার্কিন সংবিধানের এই পকেট সংস্করণের বিক্রি বেড়ে গেছে আচমকা। এটা এখন দেশটির বেস্ট সেলার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।
অনলাইন বিকিকিনি সাইট অ্যামাজনে বইটির দাম ১ ডলার। সপ্তাহান্তে ১০টি বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায় ছিল এই বইটি। ৫২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে মার্কিন সংবিধানের পাশাপাশি রয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও।
ডেমোক্র্যাটিক দলের জাতীয় সম্মেলনে খিজির খানের এই বক্তব্যের পর যথারীতি পাল্টা আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু এই প্রথম পাল্টা আক্রমণ করে আরও বিপত্তিতে পড়েছেন ট্রাম্প। খিজির খান ও তার স্ত্রীকে অপমান করে কথা বলাটা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি এমনকি ট্রাম্পের দলের লোকজনও।
মুসলিম-আমেরিকান সেনাটি ‘ধর্মত্যাগী’ : আইএস
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এখন আলোচনা ইরাক যুদ্ধে নিহত মুসলিম আমেরিকান সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খান। রিপাবলিকান দলের কনভেনশনে দলটির মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে দেয়া নিহত হুমায়ুনের বাবা খিজির খানের বক্তব্য আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় তুলেছে। তাতে যোগ দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ রাজনীতিকরা। এবার তাতে যোগ দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জঙ্গি এ সংগঠনটির দাবি, হুমায়ুন মুসলিম ছিলেন না। তিনি ছিলেন ‘ধর্মত্যাগী’।
গত রোববার এ দাবি জানায় আইএস। সংগঠনটির অনলাইন সাময়িকি দাবিক-এ প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, আরলিংটনে জাতীয় সমাধিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হুমায়ুনের সমাধির ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ক্যাপশন হিসেবে লেখা আছে, ধর্মত্যাগী হিসেবে মৃত্যুর ব্যাপারে সজাগ হও। আইএসে যোগ দেয়া এক বেনামি মার্কিন নাগরিকের লেখা একটি প্রবন্ধে, পশ্চিমা প্রভাব এড়িয়ে মুসলমানদের আইএসের ভূমিতে আসতে উৎসাহ ও একাকি হামলার চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। ২০০৪ সালে বাগদাদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ক্যাপ্টেন হুমায়ুন খান। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।