পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের দুর্নীতিতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে দেয়া প্রতিবেদনে বলেন, রিমান্ডে দেওয়া সাবরিনার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আবার তাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হতে পারে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। অন্যদিকে আসামি সাবরিনার পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। পরে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। একই সঙ্গে সাবরিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১২ জুলাই ডা. সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বৃহস্পতিবার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। কিন্তু রিমান্ড শেষ হওয়ার আগের দিন তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর ডা. সাবরিনা ও আরিফকে একাধিকবার মুখোমুখি করা হয়। এ সময় একে অন্যের উপর দোষ দেন। এরই মধ্যে ডা. সাবরিনার রিমান্ড শেষ হয়ে যায়। পরে গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে তাকে ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দ্বিতীয় দফার আরিফ ও তার স্ত্রী সাবরিনাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গত রোববার আদালতের মাধ্যমে আরিফ ও তার সহযোগি সাইদকে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল রিমান্ড শেষে ডা. সাবরিনাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
তদন্ত সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ ও সাবরিনা তাদের প্রতারণার কথা শিকার করেছেন। এছাড়াও তাদের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। ওই তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।