পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মনির হোসেনের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মনির আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্র। এই লকডাউন এর জন্য সে গ্রামের বাড়িতে ছিল। তার সাথে বাদী বা বিবাদী পক্ষের কারো সাথে কোনো সংযোগ ছিলো না। সে তৃতীয় পক্ষের লোক এবং ঘটনার দিন সে ঘরেই অবস্থান করছিল। কিন্তু প্রহসনমূলকভাবে এই হত্যার ঘটনায় তাকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আটক করা হয়। এখন তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে মনিরের মুক্তি চাই। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, গত ২৭ জুন শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ভোলাই মুন্সিকান্দি গ্রামে জমি নিয়ে বিবাদের জের ধরে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রিয়াজ মাদবর (১৭) নামে এক কিশোর গুরুত্ব আহত হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াজ মারা যায়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের নামে লিটন মাদবর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৩০ জুন দুপুরে মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে পুলিশ। পরে মামলার এজাহারে নাম না থাকা সত্তে¡ও তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মনিরেরর ভাই সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়ে প্রায় সময় মারামারি লাগত। গত ২৭ জুন এসব ঘটনার জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে রিয়াজ আলী মাতবর নিহত হয়। এরপর নিহত পক্ষের লোকজন হত্যাকারী পক্ষের লোকজনদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় কোন পক্ষে আমাদের পরিবার যুক্ত ছিলাম না। আমার ভাই ওই সময় বাড়িতে অবস্থান করছিল। কিন্তু এসব ঘটনায় একটি পক্ষ বানিজ্যের আশ্রয় নেয়। স্থানীয় মাতবর করিম মাষ্টার মামলায় নাম দেয়ার ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছে টাকা পয়সা নেয়। করিম মাষ্টার আমার বাবার কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে। না হলে আমাদের পরিবারের কাউকে মামলায় নাম দিবে বলে হুমকি দেয়। পরে ৩০ জুন আমার ভাইকে পুলিশ আটক করে। এসময় তাকে থানা থেকে ছাড়া হবে বলে আবার টাকা দাবি করে। আমার বাবা এ সময় দুই লাখ টাকা দেয়ার জন্য রাজি হয়। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসমাইল মোল্লার সাক্ষীতে ১ লাখ টাকাও দেয়া হয়। কিন্তু আমার ভাইকে আতালতে চালান করে দেয়া হয়। আমার নির্দোষ ভাইয়ের মুক্তি চাই।
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার মাতবর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসমাইল মোল্লা বলেন, মুনির একটা ভাল ছেলে। সে ঘটনার সাথে জড়িত না। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বাদী পক্ষের লোক করিম মাষ্টার, এমদাত মাতবরসহ কয়েকজনের চক্রান্তের শিকার তার পরিবার। আমি বাদী, বিবাদী, ওসি, এসপি ও স্থানীয় এমপির সাথে কথা বলে ছেলেটার যেন কোন ক্ষতি না হয় সে চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি আযহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, মামলায় নাম দেয়া নিয়ে কোন চাঁদাবাজি হলে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করবে। মামলার এজাহারে তার নাম নেই। সন্দেহভাজন হিসাবে তাকে আটক করা হয়। সে ঘটনার সাথে জড়িত ছিল কিনা তদন্তের পরে বেরিয়ে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।