Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভিসা পেতে ভারতীয় হাইকমিশনে শাখা মন্ত্রণালয় খোলার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসা পেতে দীর্ঘ সময়ের সাথে ভোগান্তি লাঘব করতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা খোলার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তির সহজিকরণ দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদের দ্বিবার্ষিক কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ পর্বের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমির হোসেন আমু এ আহ্বান জানান।
পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ বারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভারত পর্বের প্রধান অতিথি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ আলী, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল, বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল বাসেত মজুমদার, এ কে এম রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
আমির হোসেন আমু বলেন, সম্প্রীতির সৃষ্টি ৭১ মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে, রণাঙ্গনের মধ্যদিয়ে। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রেই আমাদের দুইবাংলা ভাগ হয়েছিল। পাকিস্তানিরা চেয়েছিল এ বাঙলার মানুষকে পদানত করে শাসন করবে। ভারতের প্রত্যেকটি মানুষ দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দু-দুবার বিশ^ভ্রমণ করে বাংলাদেশের পক্ষে জনসমর্থন গড়ে তুলেছিলেন। যুদ্ধে এদেশের ত্রিশলক্ষ শহীদদের সাথে ভারতেরও প্রায় এগার হাজার যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছিলেন। আজকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের বিচার হচ্ছে কিন্তু তারাও বসে নেই বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
মন্ত্রী আরো বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের যে উন্নতি হয়েছে তা দেখে বিশ^বাসী এখন বিস্ময় প্রকাশ করে। আর তা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। শেখ হাসিনা সরকারের সাথে অন্যান্য সরকারের পার্থক্য হচ্ছে জিয়া-এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন বন্দুকের নলের মুখে আর শেখ হাসিনা এসেছেন বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হয়ে, তাঁর পিতার থেমে যাওয়া অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ক। দু-দেশের মানুষের শরীরে একই রক্ত প্রবাহিত। মানুষের সাথে মানুষের, জনগণের সাথে জনগণের সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য দু-দেশের মাঝে আসা-যাওয়ার পথ আরও সুগম করা উচিত। দু-দেশের মানুষের আসা-যাওয়া যত বাড়বে তাদের সম্পর্ক আরো অহিংস হবে।
প্রফেসর প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে আমরা সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে আছি। দুই বাংলার মানুষের মাঝে যে গভীর সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে তা আলাদা করা অসম্ভব। বাংলা ভাষার যথাযথ সম্মান আমরা দিতে পারি নাই। বাংলা-হিন্দির পরিবর্তে এখন ইংরেজির ব্যবহার বড়ই দু:খজনক। কোন অনুষ্ঠানে ইংরেজির ব্যবহার হতে পারে। তবে পরিবারে মা-বাবার সাথে সন্তানের যোগাযোগে ইংরেজির ব্যবহার ভাল লক্ষণ নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিসা পেতে ভারতীয় হাইকমিশনে শাখা মন্ত্রণালয় খোলার আহ্বান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ