পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার অনুমোদিত কোনো এজেন্ট ছাড়া অপর কেউ স্ট্যাম্প বিক্রি করলে অথবা বিক্রির চেষ্টা করলে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান সংযুক্ত করে একটি বিল সংসদে আনা হয়েছে। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া অনলাইনে কোর্ট ফি জমা দেওয়ার বিধান রেখে কোর্ট ফি’স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। আইনে কোর্ট ফি আদায়ের জন্য সরকার তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডার অথবা সরকার নিয়োজিত এজেন্ট নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।
দশম সংসদের নবম অধিবেশনে গতকাল বুধবার বিলটি উত্থাপন করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। দেশের বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে সহজে, কম খরচে, দ্রুত ও কোনো হয়রানি ছাড়া কোর্ট ফি জমা দিতে পারেন সেজন্য ১৪৬ বছর পর এ আইনের সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
বিলে বলা হয়েছে, স্ট্যাম্পের সংকট দেখা দিলে অনলাইনে স্টাম্পের জন্য জমা দেওয়া টাকার রশিদ কার্যকর বলে গণ্য হবে।
বিলের উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। নামজারী, জমির পর্চা ইত্যাদি সেবাসহ সকল প্রকার মামলার কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। কিন্তু সহজলভ্য না হওয়ায় কোর্ট ফি প্রদানের সময় সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়। জনগণের হয়রানি রোধকল্পে, সহজেই এবং দ্রুততার সাথে জনসেবা পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে/অনলাইনে কোর্ট ফি জমার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিদ্যমান ঞযব ঈড়ঁৎঃ ঋববং অপঃ, ১৮৭০-এ সংশোধনী আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। এ আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা গেলে কোর্ট ফি ছাপানো, সংরক্ষণ ও পরিবহনের বিশাল ব্যয়-হ্রাসসহ জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। একই সাথে তা দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্ট ফি জমা দিতে অহেতুক ভোগান্তি থেকে রক্ষা করবে এবং নাগরিক সাধারণের ই-সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য হবে বিধায় ঞযব ঈড়ঁৎঃ ঋববং অপঃ, ১৮৭০-সংশোধন/ প্রতিস্থাপন/ সংযোজন করা প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে আরো অর্থবহ করে তোলার জন্য বিদ্যমান ঞযব ঈড়ঁৎঃ ঋববং অপঃ, ১৮৭০ সংশোধন করা প্রয়োজন। বিচারপ্রার্থী জনগণ যাতে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং হয়রানি ব্যতীত কোর্ট ফি জমা দিতে পারে সেজন্য উক্ত আইনের সংশোধন আবশ্যক। পরে পরীক্ষাপূর্বক আগামী ২১ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদাণের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
পায়রা বন্দর প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণে বিল
পায়রা বন্দর প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ২০১৬ নামে পায়রা বন্দর প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়নকল্পে একটি বিল উত্থাপন করা হয়। বিলে ৬০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কমিশনার অফিসে প্রকাশ্যে জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বিলটি উত্থাপন করেন। পরে পরীক্ষাপূর্বক আগামী ৭ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (২ নং অধ্যাদেশ) মোতাবেক দেশে প্রচলিত ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু বর্ণিত আইনে অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কর্তৃক ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের পর কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করার বিধান নেই বিধায় উক্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তাবিত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যেহেতু অধ্যাদেশটির বিধানসমূহ পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত এবং উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কোনো বিধান নেই, সেহেতু উক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা আবশ্যক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।