পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিবছরের মতো ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটেও তামাকজাত পণ্যের মধ্যে বেশকিছু সিগারেটে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। বেড়ে যাওয়া সিগারেটের নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে বাজারে এখনো আগের উৎপাদিত সিগারেটই বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম নতুন বাজেট অনুযায়ী বাড়তি নেয়া হচ্ছে। ফলে ধূমপায়ীদের পকেট থেকেও বাড়তি করের টাকা বের হচ্ছে। তবে বাড়তি এই করের টাকা জমা হচ্ছে না রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।
অবৈধভাবে এই বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু মজুতদার ও মাঠ পর্যায়ে সিগারেট বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর)। শুধু তাই নয়, কিছু ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পুরোনো সিগারেটই নতুন দামে সরবরাহ করলেও ক্যাশ মোমো দিচ্ছে পেছনে ফেলে আসা সেই ২০১৬ সালের! অবৈধভাবে সিগারেট মজুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আইনের ফাঁকফোঁকরের আশ্রয় নিয়ে বাজেটকে কেবলই তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবছরই বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটেও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এবারের বাজেট অনুযায়ী সিগারেটের নিম্ন স্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা ও তার বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৬৩ টাকা বা তার বেশি, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ৯৭ টাকা বা তার বেশি এবং অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ১২৮ টাকা বা তার বেশি। তিনটি ক্যাটাগরিতেই সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ।
কেবল সিগারেট নয়, বিড়িতেও বেড়েছে শুল্ক। যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির ২৫ শলাকার দাম ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৬ টাকা ৭২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৪ টাকা ৪৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিড়ির জন্য সম্পূরক শুল্ক আগের মতোই ৩০ শতাংশ। এছাড়া ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির দাম ৮ টাকা ৫০ পয়সা টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক আগের মতো ৪০ শতাংশ অব্যাহত রাখা হয়েছে বাজেটে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মতিঝিল, আরামবাগ, স্বামীবাগ, টিকাটুলিসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাজারে এখনো আগের উৎপাদিত সিগারেটই বিক্রি হচ্ছে। অথচ দাম নেয়া হচ্ছে নতুন বাজেট অনুযায়ী। কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। শনির আখড়ার দোকানি জহির বলেন, ‘সিগারেট কোম্পানিগুলো নতুন দাম নিচ্ছে। কিন্তু দিচ্ছে পুরাতন সিগারেট দিচ্ছে। বাজেটের আগে বেনসন ২৪৬ টাকায় কিনে বিক্রি করেছি ২৬০ টাকায়। এখন ২৫৭ টাকায় কেনা পড়ছে। বিক্রি করছি ২৮০ টাকায়। মার্লবোবোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা। গোল্ডলিফ ও স্টারের দাম বাড়েনি।
আগের মতো গোল্ডলিফ ১৮৬ টাকায় কিনে ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। আর স্টার ১২৬ টাকায় কিনে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছি। হলিউড, ডার্বি, পাইলট ও শেখের দাম বেড়েছে। সিগারেটগুলো আগে ৭৪ টাকায় কেনা পড়ত, এখন ৭৮ টাকায় কেনা পড়ছে। আর বিক্রি ১০০ টাকাই। তবে হলিউড বাদে অন্যগুলো পুরাতন রেটের সিগারেটই দিচ্ছে। আর বিড়ি আগে ১৬ টাকায় কিনে ১৮ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন ১৮ টাকায় কিনে ২০ টাকায় বিক্রি করছি।’
মন্তব্য জানতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর সিগারেটের গায়ে উল্লেখ থাকা ইনকোয়ারি নম্বরে কল করা হলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। ওয়েবসাইটে দেয়া হটলাইন নম্বরে কল করেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট নীতির এক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সিগারেটের উৎপাদন পর্যায়ে কর বা ভ্যাট আরোপ করে থাকি। সিগারেটের উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে শুল্ক কর পরিশোধের স্টিকার বা স্ট্যাম্প লাগানো হয়। ওই স্টিকার লাগানো অর্থই রাজস্ব পরিশোধিত। কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। বরং বাজারে এখন পুরোনো যে সিগারেটগুলো বিক্রি হচ্ছে, ডিলার কিংবা দোকানদার যারা বিক্রি করছেন, তারা মূলত আগের মজুত করা সিগারেট নতুন দামে বিক্রি করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।