পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেঘনায় মাছ শিকার করতে গিয়ে নৌ-দস্যুদের হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৬ জেলে। ২৪ ঘণ্টা পর দাবিকৃত মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরেছেন তারা।
অপহৃত জেলেরা হলেন- মো. জাকির মাঝি, সেলিম মাঝি, সোহাগ মাঝি, নাজিম, মঞ্জু, মাকসুদ, শাহাদাত, আজগর, ইমাম, সাহেদ, জুয়েল, জামাল, শাহ আলম, জাকির, নুরে আলম ও রাকিব। তারা ভোলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে নৌ-দস্যুদের হামলায় আহত হয়ে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন জাকির মাঝি ও সেলিম। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।
ফেরত আসা জেলেরা জানান, গত বুধবার ভোরে দক্ষিণ সাকুচিয়ার মতিন ফরাজির ট্রলার নিয়ে সেলিম মাঝির নেতৃত্বে ১৬ জেলে হাতিয়া ও মনপুরার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় নৌ-দস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী ট্রলারে করে এসে অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে জেলেদের ঘিরে ধরে। সেই সঙ্গে তাদের মারধর শুরু করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে চোখ বেঁধে নির্জন চরে তাদের নিয়ে যায়। এরপর ট্রলার মালিক মতিন ফরাজিকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা।
বুধবার গভীর রাতে মুক্তিপণের টাকা পেয়ে জেলেদের ছেড়ে দেয় নৌ-দস্যুরা। সেই সঙ্গে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে হলে তাদের কাছ থেকে টোকেন নিতে বলা হয় জেলেদের। টোকেন সংগ্রহ না করে নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে জেলেদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় নৌদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর সদস্যরা।
মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু জেলেরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। বিষয়টির তদন্ত চলছে। নৌ-দস্যুদের ধরার জন্য অভিযান চালানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।