Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাপুলের এমপি পদ বাতিল চেয়ে ইসিতে চিঠি

কমিশনের কিছুই করার নেই : ইসি সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

মানবপাচারের দায়ে কুয়েতে গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় নির্বাচন কমিশনে এ চিঠি দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্থায়ী বাসিন্দা আবুল ফয়েজ ভ‚ইয়া। নির্বাচন কমিশন এই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আগামী সাপ্তাহে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
গত মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আবুল ফয়েজ বলেন, গত ৬ মার্চ দেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে ‘এমপি পাপুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে বলা হয়, শহিদ ইসলাম পাপুল নির্বাচনী হলফনামায় স্নাতকোত্তর পাশ উল্লেখ করেন কিন্তু সার্টিফিকেট প্রদান করেন স্নাতক ডিগ্রির। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের করার কিছুই নেই। জাতীয় সংসদের স্পিকার এ ব্যাপারে কোনো আবেদন, প্রস্তাবনা পাঠালে তখন কেবল নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে ইসিতে পাঠানো চিঠিতে আবুল ফয়েজ উল্লেখ করেন, শহিদ ইসলাম পাপুল কখনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেননি, সেখানে স্নাতক ডিগ্রির যে সার্টিফিকেট জমা দেয়া হয়েছে তা ভুয়া এবং বানানো। নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করে তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতাই হারিয়েছেন। কিন্তু কর্তব্যরত রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক প্রার্থিতা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন এবং তিনি নির্বাচিতও হয়েছেন; যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। তাছাড়া শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন এবং তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করেছেন। হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করায় শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

অর্থ, মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেফতার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠান ‘মারাফি কুয়েতিয়া’র অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুয়েতের এক আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাপুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ