পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান ও কল্যাণপুরে নিহত জঙ্গিদের লাশ গ্রহণ করছে না তাদের পরিবার। তাই এসব লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে দাফন করা হবে। পৃথক দু’টি ঘটনায় পুলিশের অভিযানে নিহত হয় মোট ১৫ জঙ্গি। তাদের লাশগুলো পড়ে আছে হাসপাতাল মর্গের মরচুয়ারিতে। ইতোমধ্যে এসব জঙ্গির অধিকাংশেরই পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের লাশের ময়নাতদন্ত পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু স্বজনরা লাশ গ্রহণ করতে আসছেন না। পুলিশ বলছে, কেউ লাশ না নিলে এগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান গতকাল রোববার সাংবাদিকদের জানান, নিহত জঙ্গিদের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশগুলোর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে লাশ নিতে হলে স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া আইনি আরো কিছু বিষয় আছে, যা সম্পন্ন করে লাশ দেয়া হবে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত কেউ লাশ নিতে এসেছে বলে আমার জানা নেই।
চলতি মাসেই গুলশান ও কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত হয় ১৫ জঙ্গি। এর মধ্যে গুলশানে নিহত হয় ৬ জন এবং কল্যাণপুরে নিহত হয় ৯ জঙ্গি।
অতিসম্প্রতি কল্যাণপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলোÑ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাজ্জাদ রউফ ওরফে অর্ক ওরফে মরক্কো (২৪), নোয়াখালীর সুধারামের জোবায়ের হোসেন (২০), সাতক্ষীরার তালার মতিয়ার রহমান (২৪), ধানমন্ডির তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), গুলশানের আকিফুজ্জামান (২৪), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আবু হাকিম নাইম (৩৩), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আবদুল্লাহ (২৩), রংপুরের পীরগাছার রায়হান কবির (২২)। এসব জঙ্গির লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে আছে। এখানে লাশ রাখার যে ফ্রিজটি আছে তা ছোট। জঙ্গিদের লাশের জন্য অন্য লাশ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের।
এর আগে ১ জুলাই গুলশানে নিহত ছয় জঙ্গির লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এরা হলো রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সাবেহ মোবাশ্বের, সায়রুল ইসলাম পায়েল, শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ও শাওন। এদের প্রত্যেকেরই পুরো পরিচয় পাওয়া গেছে। অনেকের বাবা-মা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তারা ছেলের লাশ গ্রহণ করবেন না। গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, কেউ লাশ না নিলে এগুলো আঞ্জুমান মুফিদুলের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।