পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নদীর সীমানা চিহ্নিত জায়গা পুন:র্দখল করলে আরো বেশি অপরাধ হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাবেনা। নদী তীর দখলকারিরা শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান ছিল, আমরা তাদেরকে দখলদার হিসেবে দেখেছি বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
গতকাল সোমবার উচ্ছেদকৃত বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীররক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন এবং বিরুলিয়ায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলে, নদী তীর দখলমুক্ত করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা ও সমর্থনের কারণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নদী তীর দখলমুক্ত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে অন্য কেউ বেশি অনুভব করেনা। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা, দখলমুক্ত করা এবং জীবন জীবিকার চাহিদা পুরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তিনি নদী তীর দখলমুক্ত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নদী তীরের ৯০ ভাগ দখলমুক্ত করতে পেরেছি। সীমানা পিলার দৃশ্যমান, পাকা দেয়াল এবং ওয়াকওয়ের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজের গতিশীলতা আনায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, সেটি অনুমোদিত হলে নদী তীরের কাজগুলো আরো বেশি টেকসই হবে। আগামী ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। খালিদ মাহমুদ বলেন, উদ্ধারকৃত জায়গায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর কার্যক্রম ধারাবহিকভাবে চলমান থাকবে। সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। নদী রক্ষা, দখল ও দূষণরোধ এবং পরিবেশের উন্নয়নে মাস্টার প্লান অনুমোদিত হয়েছে। মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার চারপাশের নদী নয়, ঢাকার মধ্য দিয়ে নৌ চলাচল সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী মাতৃক বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মর্যাদার আসনে নিতে কাজ করছি। সরকার শত বছরের ডেল্টা প্লান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন, ঢাকার চারপাশের নদীসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। তাঁর নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে। নদী ও নৌপথ সচল রাখতে কাজ করতে পারব।
এসময় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, বিআইডবিøউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক এবং প্রকল্প পরিচালক নুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।