পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টিভির টক-শো বুদ্ধিজীবী ভিআইপি প্রতারক সাহেদ করিম এখনো গ্রেফতার না হলেও একে একে বেড়িয়ে আসছে তার নানা অপকর্মের চিত্র। শুধু সুন্দরী নারীকে ব্যবহার করে কাজ বাগিয়ে নেয়া নয়; পাশাপশি সে ব্যক্তিগত জীবনেও বহুরূপী প্রতারক। করোনা পরীক্ষার জালিয়াতি প্রকাশের পর সাদিয়া আরাবি নামের এক স্ত্রীর পরিচয় জানা গেলেও তার রয়েছে আরো দুই স্ত্রী এবং রিজেন্ট হাসপাতালের বিশেষ রুমে ওই স্ত্রীদের নিয়ে সময় কাটাতেন বলেও অফিসের একাধিক কর্মচারী সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছেন।
প্রতারক সাহেদের সহকর্মীরা বলছেন, সাদিয়া আরাবি ছাড়াও তারা সাহেদের আরো দুই স্ত্রী দেখেছেন। এদের একজনের নাম চৈতি। এছাড়া লিজা ও মার্জিয়া নামে সাহেদের অফিসে দুই নারী কর্মকর্তা আছেন। তাদের একজন তার বিয়ে করা বউ বলেও সন্দেহ কর্মীদের। একাধিক স্ত্রী থাকলেও পরস্পরের কাছে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রাখা হয়েছে। তদন্তকারী ও সহকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, লিজা ও মার্জিয়া ছাড়াও সাদিয়া ও হিরা মণি নামে দুই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সাহেদের। পাসওয়ার্ড দেয়া প্রাইভেট রুমে কেবল তাদেরই অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল। কাজ হাসিল করতে সুন্দরী পাঁচ বান্ধবীকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতেন সাহেদ। আর্থিক জালিয়াতির জন্য বহুরূপী সাহেদের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর। লেনদেনের ক্ষেত্রেও তিনি ভিন্ন স্বাক্ষর ব্যবহার করতেন। একেকটি লেনদেন দেখার দায়িত্বে ছিলেন একেকজন সহযোগী।
সাহেদের সাবেক এক নারী কর্মী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমি তো সাহেদের তিনটি বউ দেখছি। তাদের একজন প্রিয়তির আম্মু (সাদিয়া আরাবি) বনানীতে থাকেন। নাজিয়ার আম্মুকেও তো কিছুদিন আগে কক্সবাজার থেকে আটক করছে। আরেকজনের নাম চৈতি, সে-ই তার অরজিনাল বউ জানতাম। তার যে আর কোনো বউ আছে তা জানতাম না। পরে বাকিদের ব্যাপারে জানি। মার্জিয়া নামের একজনকে শুধু শুধুই বেতনের নামে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা দিতে হতো। স্যার (সাহেদ) তাকে বিয়ে করেছে কিন্তু অন্যদের সামনে হয়তো সেটা প্রকাশ করেননি। লিজা ম্যাডামও মনে হয় তার বিবাহিত ছিল। অনেক খবরদারি করত। মার্জিয়াকে নিয়ে একবার অনেক ঝগড়া হয়েছিল।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সাহেদের পাঁচজন সুন্দরী বান্ধবী ছিলেন। তাদের একজন অফিসের ঘনিষ্ঠ কর্মী লিজা। সাদিয়া ও হিরা মণি নামের দুজনও তার সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড দেয়া কক্ষে বিনোদন সময় কাটাতেন। সাহেদ সুন্দরী তরুণীদের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে কাজ বাগিয়ে নিতেন।
সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া আরাবি স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, একটা সময় আমাদের খুব খারাপ গেছে। আমি তাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। কি কারণে গিয়েছিলাম তা পরিবারের লোকজন জানে। সাদিয়া আরাবি অন্য দুই সতীনের কথা মুখে না বললেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জন বলছেন, হোয়াইট ক্রিমিনাল সাহেদ গ্রেফতার হলে সবকিছুই বেরিয়ে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।