পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কাশ্মীরে গ-গোল হলে ভারত যেমন পাকিস্তানি কার্ড খেলে, তেমনি আমাদের সরকার জামায়াতে ইসলামীকে ‘রাজনৈতিক কার্ড’ বানিয়ে খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন আসম হান্নান শাহ। গতকাল শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ‘জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। হান্নান শাহ বলেন, হাইকোর্টে মামলা হয়ে গেছেÑজামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না, প্রতীক পাবে না। তাদের নিবন্ধন বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারকে বলব, তাহলে এত চিন্তা করেন কেন? আপনারা (সরকার) মিটিং করে বলেছিলেন, জুন মাসের মধ্যে যে জুন পার হয়ে গেল, তাদেরকে (জামায়াতে ইসলামী) বন্ধ করবেন, কই? তাহলে বোঝা গেল এরাও (সরকার) এই জামায়াত কার্ড রাজনৈতিক কার্ড হিসেবে খেলছে।
তিনি বলেন, এই সরকার সব সময় উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপায়। কথায় কথায় বিএনপি-জামায়াতের কথা বলে। কাজটা করে উল্টো। আমি একটা চ্যালেঞ্জ দিইÑগত ২০ বছরে কয়টা বিএনপি ঘরানার মানুষ আওয়ামী লীগের ঘরানার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, সেটা আমার কাছ থেকে নেন। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ ঘরানার কতগুলো মানুষ জামায়াতে ইসলামীর সাথে আত্মীয়তা করেছেন, ওইটা একটা হিসাব নেন। তাহলে দেখা যাবে, এখন জামায়াতের প্রিয় কারা। কারা অপ্রিয় সেটা বলতে চাই না, দোষ আমাদের বলতে চান, বলতে পারেন।
ক্ষমতাসীনরা সম্পদ পাচার করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শত শত উদাহরণ দেখাতে পারব, উন্নয়নের নামে এদেশের সম্পদ কী করে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় যান দেখবেন এদেশের কত মানুষ ঘোরাঘুরি করছে। ওদের ভূমি অফিসে যাবেন, গত তিন বছরে কত বাংলাদেশী মানুষ সেকেন্ড হোম করেছে। তার মধ্যে বিএনপির কয়জন, আওয়ামী লীগের কয়জন। সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করছি, যান না ঘুরে আসেন, গিয়ে দেখে আসেন সম্পদ কী করে পাচার হচ্ছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিশাল ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হান্নান শাহ।
জঙ্গিদের মোকাবিলায় খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান সম্পর্কে হান্নান শাহ বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার ঐক্য প্রচেষ্টায় আসবে বলে মনে হয় না। তবুও বলব যদি রামের সুমতি হয় এবং তারা আসেন, এটা দেশের জন্য মঙ্গল হবে। এই ঐক্য এখন অপরিহার্য। সরকার যদি মনে করে, এটা ছাড়া তারা দেশ শাসন করতে পারবেন, সকল মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারবেনÑআমি মনে করি, সেটা সম্ভব নয়। তা অনতিবিলম্বে সরকারের উচিত উদ্যোগ নিয়ে একটা রাউন্ড টেবিল কনফারেন্স ডাকা। যেহেতু তারা দেশের দায়িত্বে আছেন। উদ্যোগ তাদের নিতে হবে। নইলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক নেতারা বসে সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য সম্মেলন করব, বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সংগঠনের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, দেওয়ান মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল্লাহিল মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।