পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসরকারি টিভিগুলোর বদৌলতে হঠাৎ বুদ্ধিজীবী মো. সাহেদ এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। তার প্রতারণামূলক বুদ্ধির খেলায় মন্ত্রী-এমপি, রাজনীতিক, আমলা, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই কুপোকাত। ছবি দেখে সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। মোটাগাটা সাহেদ দামি গাড়িতে টকশোতে যেতেন। পাহারায় থাকতো অস্ত্রসহ ৩ বডিগার্ড। ওয়ারল্যাস সেট; প্রায়ই গাড়িতে ভিআইপি ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড দেখা যেত। উঠাবসা করতেন ভিভিআইপিদের সঙ্গে। করোনা বাণিজ্যের রক্তচোষা ভিআইপি প্রতারক সাহেদকে র্যাব-পুলিশ খুঁজছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের ঝড় বইছে। সবার প্রশ্ন ভিআইপি প্রতারক সাহেদ কোথায়? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এই প্রতারক ১৯৮২ সালের কালিগঞ্জের ইমদুর মতো এখন কোন ‘কাশেম চৌধুরীর’ সেল্টারে রয়েছেন কে জানে?
করোনার মধ্যে মানুষের জীবন নিয়ে ‘মরণবাণিজ্য’ করা রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয়ে বহুমুখী ভিআইপি প্রতারক সাহেদ অনেক বছর ধরে প্রতারণা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। হালে টিভি টকশোর মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী পরিচিতি পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিস্তর বিতর্ক চলছে। সত্যিই সেকি বুদ্ধিজীবী! ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এতোগুলো নেতা, মন্ত্রী, এমপি, আমলা, পুলিশ কর্মকর্তা, সিনিয়র সাংবাদিক, ব্যবসায়ীকে ‘বুদ্ধির জোরে’ বোকা বানিয়ে প্রতারণা বাণিজ্য চালিয়েছেন? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মুখে যাই বলুক না কেন ঐতিহ্যবাহী দলটিকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন।
এক নজরে পরিচিতি : নাম তার মো. সাহেদ এবং মো. সাহেদ করিম। পিতা. সিরাজুল করিম, মাতা. মৃত সুফিয়া করিম। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী তার মা সুফিয়া মৃত্যুবরণ করেছেন ২০১০ সালের ৬ নভেম্বর। তবে মো. শাহেদ নামে সে যে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে যার নাম্বার হলÑ ২৬৯২৬১৮১৪৫৮৮৫ আর এ জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয় ২৫-৮-২০০৮ইং। ঠিকানা হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১ রয়েছে। গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়।
ভিআইপি প্রতারক সাহেদের বাবা সিরাজুল করিমের সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর নিউ মার্কেট এলাকায় বসতি ছিল। ছিল ‘করিম মার্কেট’ নামের একটি মার্কেট। তবে সেটি ১০ বছর আগে বিক্রি করেছেন। এখন সাতক্ষীরায় সাহেদের পরিবারের কেউ থাকে না।
সাহেদ করিমের মা সাফিয়া করিম ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৬ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, সাফিয়া করিম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তার ছেলে সাহেদ করিম সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকাÐে কখনও সম্পৃক্ত ছিলেন না। এখন কেন্দ্রের কোনো উপকমিটিতে রয়েছে বলে শুনেছি।
ভারত থেকে আসা: মূলত ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর সাহেদের দাদা জমি বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরপর সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকায় বাড়ি করেন। ভারত থেকে আসা সাহেদ করিমের দাদারা ছিলেন দুই ভাই। মো. ইকরামুল করিম ও মো. ইমদাদুল করিম। ইকরামুল করিমের চার ছেলে সিরাজুল করিম, রফিকুল করিম আর দুই ভাইয়ের নাম জানা যায়নি। সিরাজুল করিমের একমাত্র ছেলে সাহেদ করিম।
সাহেদের বাবার ‘করিম মার্কেট’ কিনে নিয়েছেন বিশ্বনাথ ঘোষ। তিনি শম্পা ফিসের মালিক। তিনি বলেন, আমি ১৮০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ঘের ব্যবসা করতাম। পরবর্তীতে ২০০৫-০৭ সালের দিকে ঘেরের জমিগুলো পর্যায়ক্রমে সিরাজুল করিম বিক্রি করে দেন। সাহেদের বাবা-চাচাদের সঙ্গে আমি মেলামেশা করেছি। হাইস্কুল লেভেল পর্যন্ত সাহেদ সাতক্ষীরায় ছিল। এরপর ঢাকায় চলে যায়।
বহুমুখী প্রতারণা: বহুমুখী প্রতারণার কারণে ভিআইপি প্রতারক সাহেদ ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় কারাগারে ছিলেন। জেল থেকে বের হয়ে ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে এমএলএম কোম্পানি বিডিএস ক্লিক ওয়ান খোলেন। সেখানে প্রতারণার দায়ে তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ২টি মামলা হয়। প্রতারণার দায়ে তার বিরুদ্ধে বরিশালে ১ মামলা, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিস এ চাকরির নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় ৮টি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা হয়। অন্যদিকে সাহেদ ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক বিমানবন্দর শাখা থেকে ৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়ায় মামলা হয়। আদালতে ২টি মামলা চলমান।
তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাগুলোর ধানমন্ডি, মিরপুর, বাড্ডা, উত্তরায় থানায় বেশি। কয়েকটি মামলার নং- বাড্ডা- ৩৭(৭)০৯, আদাবর-১৪(৭)০৯, লালবাগ-৪৭(৫)০৯, উত্তরা ২০(৭)০৯, উত্তরা ১৬(৭)০৯, উত্তরা ৫৬(৫)০৯, উত্তরা ১৫(৭)০৯, ৩০(৭)০৯, ২৫(৯)০৯, ৪৯(০৯)০৯, ১০(৮)০৯ সবগুলো মামলা ৪২০ ধারায়। তার প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট কেসিএস লি. ইউসিবি ব্যাংক উত্তরা শাখায় একাউন্ট নং-০৮৩২১০১০০০০১০০০৩, রিজেন্ট হাসপাতাল লি. ইউসিবি ব্যাংক উত্তরা শাখায় একাউন্ট নং-০৮৩১১০১০০০০০০৬১৬, সহ ব্র্যাক ব্যাংক উত্তরাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচুর অর্থ রয়েছে। বর্তমানে রিজেন্ট গ্রæপ ও কর্মসংস্থান সোসাইটি কেকেএসের নামে প্রতিষ্ঠান বাড়ি ১৬ রোড ১৭ সেক্টর ১১ উত্তরা ঢাকায় বসে সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সাহেদের বহুমুখী প্রতারণা নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন একুশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।
টিভি টকশোতে সরকারের গুণগান করায় সাহেদ ক্ষমতাসীনদের আস্থাভাজন হন। অতপর হোয়াইট ক্রিমিনালের মতো প্রতারণা শুরু করেন। সাহেদ উত্তরাস্থ ১১ নং সেক্টরের ১৭ নং রোডে, বাড়ী নং-৩৮ রিজেন্ট হাসপাতাল গড়ে তোলেন; যার কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। তিনি বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে প্রথম করোনা রোগীর চিকিৎসার সুযোগ লাভ করেন। রিজেন্ট হাসপাতালের ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের খবর পাওয়ার পর র্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এতে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ইতোমধ্যেই হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে; কয়েকজন কর্মচারী গ্রেফতারও হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে।
অভিযানের পর র্যাব বলেছে, রিজেন্ট হাসপাতালে প্রকৃত অর্থে হাসপাতাল চালানোর মত কোন পরিবেশ, ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতি নেই। দালালের মাধ্যমে টংগী সরকারি হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রোগী ক্রয় করে এনে তাদের আটকিয়ে রেখে হাজার হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়াও প্রতারণার টাকায় সে উত্তরা পশ্চিম থানার পাশে গড়ে তুলেছে রিজেন্ট কলেজ ও ইউনির্ভাসিটি, আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটি। কোনোটিরই বৈধ লাইসেন্স নেই। আর অনুমোদনহীন আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটির ১২টি শাখা করে হাজার হাজার সদস্যদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর আগেও সে উত্তরাস্থ ৪,৭ ও ১৩ নম্বর সেক্টরে ভুয়া শিপিং এর ব্যবসা করেছে।
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ২/এ সড়কের একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার (অতিরিক্ত আইজিপি লুৎফুল করিব) ১৪ নম্বর বাড়িটির দুইটি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছে সাহেদ। কিন্তু ভাড়া নিয়মিত দেন না। ভবনটির তৃতীয় ফ্লোরের মালিক এক নারী দেশের বাইরে থাকেন। তার মা জাহানারা কবির বলেন, ‘আমার স্বামী লুৎফুল কবির পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ছিলেন। আমার মেয়েকে ১৪ নম্বর বাড়িতে একটি ইউনিট কিনে ভাড়া দিয়েছে। কিন্তু সাহেদ নিয়মতি ভাড়া দেয় না। ভাড়া চাইলে ক্ষমতাসীন দলের ভয় দেখায়। আমরা তিনবার নোটিশ দিয়েছি। সে ভাড়াও দেয় না, বাড়িও ছাড়ে না’।
মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের রিজেন্ট হাসপাতাল ভাড়া বাড়িতে। ভবনের মালিক ফিরোজ আলম চৌধুরী। তিনি র্যাবকে জানান, দুই বছরের ভাড়া বকেয়া। ভাড়া চাইলে ৫০ হাজার দেয়, না চাইলে দেয় না। আমি উকিল নোটিশ দিয়েছি, থানায় জিডি করেছি, তাতে কোনো কাজ হয়নি। সাহেদ ভবন ছাড়ে না। আমাকে কয়েকবার চেক দিয়েছে, কিন্তু চেক বাউন্স হয়েছে। পলাতক ভিআইপি প্রতারক সাহেদের সব ব্যাংক হিসেব জব্দ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভিআাইপি প্রতারক: একুশে টেলিভিশনে সাহেদের প্রতারণা সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল কয়েক বছর আগে। এছাড়াও তার প্রতারণার শিকার অনেকেই নানাভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার পাননি। জানা যায়, ভিআইপি প্রতারক সাহেদের নানামুখী প্রতারণার বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা থেকে উপসচিব নওয়াব আলী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয় তৎকালীন মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, সাহেদ নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এডিসি ছিলেন বলেও পরিচয় দিয়ে আসছে। এই ব্যক্তি ‘ভয়ঙ্কর প্রতারক’। তার বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা রয়েছে। সে দুই বছর কারাগারে ছিল, সেই বিষয়েও উল্লেখ করা হয়। এরপরও সাহেদের বিরুদ্ধে তেমন কোনও আইনি প্রক্রিয়া নেয়া হয়নি। উল্টো এই চিঠির পরও ২০১৭ সালে সাজেক ভ্রমণে গেলে সেখানে তিনি পুলিশ প্রোটেকশন দেয়া হয়।
ঠিকাদারিতে সুন্দরী নারী: সাহেদ ঠিকাদারি করতেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কিছু কাজ করেছে। কক্সবাজার, বরিশাল, বাগেরহাট ও মংলায় কাজ করেন। ঠিকাদারি কাজ পেতে সে শুধু ঘুষ নয়, সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করতেন। হোটেল ব্যবসায় তিনি সুন্দরী নারীদের ব্যবহার করে কাজ বাগিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল জাতীয় সংসদের সমাপনী বক্তব্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, করোনার নামে জেকেজি এবং রিজেন্ট হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। রিজেন্টের মতো প্রতিষ্ঠান কীভাবে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন পেলো? এ প্রশ্ন যেন দেশের ১৮ কোটি মানুষের। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, আধুনিক প্রযুক্তির যুগে প্রতারক সাহেদকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না কেন? কোথায় লুকিয়ে রয়েছে সে? কারা তাকে সেল্টার দিচ্ছেন?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।