Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর মেস ও ছাত্রাবাসে আতঙ্ক

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চলছে ব্লক রেইড ৪টি অভিযানে নেই কোনো গ্রেফতার : ব্যাচেলরদের কাছে অনেকেই বাসা ভাড়া দিচ্ছেন না : বিপাকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কোচিং করতে আসা ভর্তিচ্ছুরা
উমর ফারুক আলহাদী : রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ি, ছাত্রাবাস এবং মেসে চলছে পুলিশের ব্লক রেইড। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে। কিন্তু এসব অভিযানের পর এলাকাবাসী, বাসার মালিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাতভর ১২টি ভবনে ব্লক রেইড দিয়েও পুলিশ কোনো জঙ্গি সদস্য বা অপরাধী পায়নি। তারপরও কেন এ অভিযান। এ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। সঠিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালালে তাদের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন একাধিক বাড়ির মালিক। বিভিন্ন ভবন ও বাড়ির মালিকেরা বলেছেন, ঢাকা মহানগরীতে হাজার হাজার মেস বা ছাত্রাবাস রয়েছে। এসব মেস ভাড়া দিয়েই ভবন মালিকদের সংসার চলে। কিন্তু জঙ্গি দমনের নামে এভাবে যত্রতত্র তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কিসের ভিত্তিতে গত ৪ দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক বাসাবাড়িতে ব্লক রেইড দেয়া হলো। তবে পুলিশ বলছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে না পারার বিষয়টি বারবারই পুলিশ কর্মকর্তারা এড়িয়ে গেছেন।
অন্যদিকে ব্লক রেইডের কারণে এখন ব্যাচেলরদের কাছে অনেকেই বাসা ভাড়া দিচ্ছেন না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন তার। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকেরা সমস্যায় পড়েছেন।
তবে গতকাল পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ব্যাচেলরদের কাছে বাসা ভাড়া দেয়া-না দেয়ার ব্যাপারে বাসার মালিকদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে ভাড়াটিয়াদের সকল তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট থানা জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতি রাতেই রাজধানীর কোথাও না কোথাও পুলিশ জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ বলছে, রাজধানীতে বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে জঙ্গিরা আস্তানা গড়ে তুলেছে। এসব আস্তানায় জঙ্গি প্রশিক্ষণের তথ্যও পুলিশের কাছে রয়েছে। এ কারণেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কল্যাণপুরের অভিযানের পর গত ৪ রাতে অর্থৎ বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাত পর্যন্ত কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বাসাবাড়ির বহুতল ভবন, মেস ও ছাত্রাবাসে ব্লক রেইড দেয়া হয়েছে। তবে এসব অভিযানে উদ্ধার বা গ্রেফতার নেই। আবাসিক এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং আতঙ্ক। কখন কোন বাড়িতে শুরু হয় ব্লক রেইডÑএ আতঙ্কে ভয়ভীতির মধ্যে আছেন তারা। তবে পুলিশ বারবারই বলেছে, বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তাদের দাবি তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই ব্লক রেইড দেয়া হচ্ছে। কিন্তু ভুক্তভোগী বাসার একাধিক মালিক অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ব্লক রেইডের নামে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর দাবি করা হলেও রাজধানীর হাজারীবাগ, মোহামম্মদপুর ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় ব্লক রেইডে পুলিশ কোনো জঙ্গি কিংবা অপরাধী পায়নি। রায়েরা বাজারে ১১টি ভবনে এবং হাজারীবাগে ১২টি ভবনে অভিযান চালানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজারীবাগের এক বাসার মালিক গতকাল বলেন, যেভাবে ব্লক রেইড দেয়া হচ্ছে, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। কারণ ইতোমধ্যে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিয়েছেন। আগামীতে ভাড়াটিয়া পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তিনি জানান, তার দুটি বহুতল ভবনের অধিকাংশ ফ্ল্যাটেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজপড়–য়া শিক্ষার্থীরা ভাড়া থাকতেন। এখন তারা ভয়ে বাসা ছেড়ে দিয়েছেন।
ওই এলাকার অপর একজন বাড়ির মালিক জানান, এখন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির সময়। এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় এসে মেসে ওঠেন। কারণ তারা বিভিন্ন বিশ্বিবিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করতে ঢাকায় আসেন। তিনি আরো জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হাজারীবাগ এলাকায় ব্লক রেইড দেয়ার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী মেস ছেড়ে চলে গেছেন।
রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার সন্দেহভাজন কয়েকটি মেসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হাজারীবাগ থানা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম চৌধুরী অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে রমনা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতি. উপ-পুলিশ কমিশনার রমনা বিভাগ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ধানমন্ডি জোন), সহকারী পুলিশ কমিশনারের (পেট্রোল) নেতৃত্বে হাজারীবাগ থানা এলাকার মধুবাজার, জিগাতলা ও পশ্চিম ধানমন্ডির রোড নং ৭/এ-এর বিভিন্ন মেস ও ছাত্রাবাসে ব্লক রেইড দেওয়া হয়।
হাজারীবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর আলিমুজ্জামান জানান, মোট ১২টি মেসে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, রাত ১২টা থেকে হাজারীবাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়। জঙ্গি প্রতিরোধে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান চালানো হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাসা-বাড়িতে এই অভিযান চলছে। তবে এই অভিযানের কারণে যাতে কোনো নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ওপর থেকে সেই নির্দেশ রয়েছে। পুলিশও সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে কাজ করছে এবং এই অভিযান আরো বেগবান করা হবে বলে জানান তিনি।
হাজারীবাগের মেসে ব্লক রেইডের শিকার মেডিকেল কলেজে ভর্তীচ্ছু রাশেদুল ইসলাম জানান, তার বাড়ি বগুড়া। তিনি একটি মেডিকেল কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে কোচিং করছেন। সামনে ভর্তি পরীক্ষা, তাই ভর্তি নিয়ে এমনিতেই টেনশনে আছেন। এর মাঝে পুলিশের অভিযান ও ধরপাকড়ের ভয়। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। তিনি আরো জানান, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পুলিশ যখন ব্লক রেইড দেয়, তখন মনে হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা হয়তো আর দেয়া হবে না। কারণ সন্দেহজনক হিসেবে পুলিশ ধরে নিলেও জামিন পেতে পেতে লাইফই শেষ হয়ে যাবে। এ ধরনের উদ্বেগ ও আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন আরো অনেকেই।
পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে রাজধানীকে জঙ্গিমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে র‌্যাব-পুলিশ। যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে রাজধানীজুড়ে এ অভিযান অব্যাহত আছে। ঢাকা মহানগর এলাকায় অবস্থান করা জঙ্গিদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত, অবস্থান নির্ণয় ও চিরুনি অভিযান পরিচালনার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করা হচ্ছে গোয়েন্দা কার্যক্রম, যেন জঙ্গি নেটওয়ার্কের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে যে কোনো হামলাসহ হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করা যায়। এ ছাড়া জঙ্গি আস্তানা খুঁজে বের করার কৌশলসহ নানা ধরনের দিকনির্দেশনা দিয়ে রাজধানীর পুলিশের সব অপরাধ বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল, বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকাকে আস্তানা হিসেবে বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির একটি বিচ্ছিন্ন অংশ ফের মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে অনুসরণের ব্যর্থ চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কারণ এরই মধ্যে রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া ও কল্যাণপুরের দুটি আস্তানা থেকে আইএসের আদলের কালো পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে প্রথমবারের মতো উদ্ধার করা হয় কালো রঙের পতাকা, যা বানিয়েছিল জেএমবি সদস্যরা। ওই পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, জঙ্গিদের ধরতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ব্লক রেইড চলছে। এই রেইডের কারণেই কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া জঙ্গিদের ধরতে চলছে নানা কৌশলী অভিযান। পুলিশ বিশেষ তল্লাশি চালাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন মেসে।
পুলিশ আরও জানায়, যেসব বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করে থানায় জমা দেননি, তারাও এখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসছেন। কোনো কোনো বাড়ির মালিক সন্দেহজনক আচরণের মতো বিষয়ও পুলিশকে গোপনে জানাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে আটককৃত এক জঙ্গির কাছ থেকে মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে জঙ্গি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানার চেষ্টা চলছে। জঙ্গি তথ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকার জঙ্গিদের সংখ্যা, অবস্থান নির্ণয়ের পাশাপাশি চলছে ধারাবাহিক অভিযান। পুলিশ জানায়, জঙ্গিবিরোধী এসব অভিযানে ক্যাজুয়ালিটি কমাতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার পর নগরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ বাহিনীকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। তাই নগরবাসীর নিরাপত্তার তাগিদে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজাবাজার এলাকায় কমপক্ষে ১১টি ছাত্র মেসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলেছে, এসব মেসে মূলত কোচিং সেন্টারের এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা থাকে। জঙ্গি তৎপরতায় তাদের কেউ জড়িত কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজাবাজার এলাকার কমপক্ষে ১১টি ছাত্র মেসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এর আগের দিনও মোহাম্মদপুর, রমনা এলাকার ব্যাচেলর বাসায় অভিযান চালায়।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস বলেন, রাজাবাজার এলাকায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় ধরে পুলিশ ১১টি ভবনে তল্লাশি চালায়। তবে তল্লাশিকালে পুলিশ কিছু পায়নি এবং কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান ওসি। ওই ভবনগুলো ছয় থেকে সাততলা পর্যন্ত। প্রতিটি ভবনকে একটি করে মেস হিসেবে পুলিশ চিহ্নিত করে অভিযান চালায়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে, এমন ছাত্রের সংখ্যাই এই মেসগুলোতে বেশি। ওসি গোপাল জানান, মেসগুলোতে বসবাসকারী ছাত্রদের পরিচয়পত্র এবং তথ্যাদি পুলিশ যাচাই করে দেখেছে। কয়েকজনের পরিচয়পত্র বা তথ্যাদির প্রমাণ না থাকায় মোবাইলে তাদের বাবা-মায়ের সাথে কথা বলে পুলিশ তাদের সন্দেহ দূর করেছে।
তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, তেজগাঁও থানা এলাকার শতকরা ৬০ শতাংশ বাড়িতে রেড দেয়া হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা কোনো কিছু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বাকি ৪০ শতাংশ বাসা-বাড়িতেও এই অভিযান চালানো হবে।
এর গত বুধবার দিবাগত রাতেও রমনার নয়াটোলা বস্তিতে পুলিশ ব্লক রেইড চালিয়েছে। তবে অভিযানে কেউ আটক হয়নি। রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, রাত ১০টায় নয়াটোলার ১২ নম্বর বস্তিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ধরতে অভিযান চালানো হয়। ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে কেউ আটক হয়নি। এর আগের রাতে মোহাম্মদপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে, এসব অভিযানে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের দায়িত্বশীল পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, মেসগুলোতে তাদের এমন আকস্মিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানীর মেস ও ছাত্রাবাসে আতঙ্ক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ