পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
০ পদ্মায় তীব্র ¯্রােত ০ শত শত যানবাহন আটকা
ইনকিলাব ডেস্ক : পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, তীব্র ¯্রােত, পন্টুন তলিয়ে যাওয়া ও ফেরি বিকল হওয়ায় শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ওই দুই রুটের দু’পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌ চলাচল ব্যাহত
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরের কাওরাকান্দি-শিমুলিয়া-নৌরুটের পদ্মা নদীতে অব্যাহত পানি বেড়ে বিপদসীমার ৬০ সে.মি. উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কাওরাকান্দি ঘাটের ২নং ঘাটটি গত এক সপ্তাহ ধরে পানিতে ডুবে আছে। অপর একটি রো-রো ঘাটে চলছে সংস্কার। এত করে পদ্মায় তীব্র ¯্রােতের কারণে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তাল পদ্মা নদীতে পানির তীব্র ¯্রােত অব্যাহত থাকায় ফেরিসহ নৌযানগুলো ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজান বেয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে দ্বিগুণ থেকে আড়াইগুণ সময় বেশি লাগছে। ফেরিগুলো শিমুলিয়া প্রান্তে প্রায় ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজানে গিয়ে চললেও পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে। ৩টি ডাম্ব ফেরিসহ ৪টি ফেরি বন্ধ রয়েছে। এখন এই নৌ-রুটে ১৪টি ফেরি চলছে। চলমানগুলো ফেরিসহ নৌযানগুলোও পারাপারে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাওরাকান্দি ঘাটে দেখা বরিশাল থেকে আসা যাত্রী পান্না বেগমসহ আরো অনেক যাত্রীরা জানান, দীর্ঘ পথ যানবাহনে কাওরাকান্দি ফেরি ঘাটে এসে চরম বিড়ম্বনার শিকার হই। দিন দিন কাওরাকান্দি ফেরি ঘাটে যাত্রী ভোগান্তি বেড়েই চলছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে উদাসীন। এখনো ২ নম্বর ঘাটটি অন্য স্থানে স্থাপন করে সচল করানো সম্ভব যাত্রীরা দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে কাওরাকান্দি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কাওরাকান্দি-শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩টি এবং কাওরাকান্দি ঘাটে মাত্র দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আবার পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কাওরাকান্দি ৩নং ঘাটটি শনিবার সকাল থেকে লো-ওয়াটার লেবেল থেকে হাই ওয়াটার লেবেলে স্থাপন করাসহ ঘাট মেরামত করছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থার কারণে কাওরাকান্দি ঘাটের যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ঘাটে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
কাওরাকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবদুস সালাম মিয়া জানান, তীব্র ¯্রােত অব্যাহত থাকায় ফেরিসহ নৌযানগুলো ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার উজান বেয়ে পদ্মা নদী পারি দিতে গিয়ে দ্বিগুন থেকে আড়াই গুণ সময় বেশি লাগছে। বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলছে। তবে শিমুলিয়া ও হাজরা টার্নিং পয়েন্টে তীব্র ¯্রােতের কারণে ফ্ল্যাট ফেরিগুলোকে আইটি জাহাজের সাহায্যে পদ্মা পার হতে হচ্ছে।
কাওরাকান্দি ঘাটের মেরিন শাজাহান জানান, কাওরাকান্দি ঘাটের ২ নম্বর ঘাটটি অত্যন্ত নিচু স্থানে করা হয়েছে। পানি না কমলে আর ওই ঘাটটি সচল করা সম্ভব নয়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বিপর্যস্ত ফেরি সার্ভিস
আরিচা সংবাদদাতা জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ফেরি সার্ভিস। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ওই নৌরুটে যে কোনো সময় রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পানিতে পন্টুন তলিয়ে যাওয়া, নদীতে প্রবল ¯্রােত, ফেরি বিকল ও ঘাট ভেঙে যাওয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন পারাপার মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। উভয় ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ৭ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে নদীর দু’পারেই ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘাটে আটকেপড়া যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা অফিস সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে শুক্রবার পাটুরিয়ায় পাঁচটি ঘাটের মধ্যে তিনটি ঘাটের পন্টুনের এপ্রোচ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেলে ঘাট তিনটি বন্ধ থাকে। দুটি ঘাট কোন রকমে জোরা তালি দিয়ে চালু রাখা হয়। দৌতদিয়ায় ৪টি ঘাটের মধ্যে ২টি ঘাট চালু রয়েছে। বাকি ২টি ঘাট পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে ১৮টি ফেরি মধ্যে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। বাকী ৬টি ফেরি বিকল হয়ে পড়েছে। যে সব ফেরি চালু রয়েছে তা প্রবোল ¯্রােতের বিপরীতে চলতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই মেরামতে যেতে হচ্ছে। ফেরিযোগে যানবাহন পারাপার পরিস্থিতি নাজুক আকার ধারণ করায় ফেরি কর্তৃপক্ষ যানবাহন মালিকদের বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ফেরি সেক্টরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ নাসিম জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে চলাচলকারী ১৮টি ফেরি মধ্যে ৬টি ফেরি বিকল। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে মাত্র দুটি ঘাট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করতে পারছে। বাকি দুটি ঘাট পদ্মার তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহারকারী যানবাহনের মালিকদেরকে বিকল্প রুটে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।