পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জঙ্গিবাদের ‘জ’ শব্দটিও বাংলাদেশে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে যুবলীগ উত্তর এ সমাবেশ করে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই না বাংলাদেশে কেউ জঙ্গিবাদী হোক। দেশে দুই একটা জঙ্গি ঘটনা ঘটছে। হয়তো এরকম দুই-চারটা ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের ঘটনার কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে সেটা কিন্তু সঠিক না। জঙ্গিদের ভয় করার কোনো কারণ নেই। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই; তাহলে বাংলাদেশে জঙ্গিতো দূরের কথা ‘জ’ শব্দটিও থাকবে না।
তিনি বলেন, দুই-একটি ঘটনা ঘটলে শহীদ মিনারে বিশাল জনসভা করার প্রয়োজন নেই। জঙ্গিদের নেই কোনো আত্মশক্তি। তারা কাপুরুষ, ভীতু। যারা রাতের অন্ধকারে নিরীহ মানুষকে হত্যা করে তারা কাপুরুষ। এ কাপুরুষের দল কোনোভাবেই কোনো সংগ্রামে জয়লাভ করতে পারে না এবং পারবেও না। হয়তো কিছু মায়ের বুক এবং পিতার কোল খালি হতে পারে।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেন, রেস্টুরন্টে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে মানুষকে হত্যা করলেই জিহাদ হয় না। এখানে জঙ্গিও মারা গেল, যারা খেতে আসলো তারও মারা গেল। এতে লাভটা কার হলো। কয়েকজন বিদেশিকে হত্যা করলেই সারা বিশে^ ইসলাম কায়েম হবে?
তিনি বলেন, কোনো ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা মুসলমান। আমাদের ধর্ম উত্তম ধর্ম, হিন্দু ধর্ম নি¤œবর্ণের ধর্ম, আর ইহুদিরা মানুষই না; এভাবে যদি মানুষকে মূল্যায়ন করা হয় তাহলে বিশে^ বিভাজন আরও বাড়বে। আমরা যদি অন্যের ধর্মকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি এবং সম্মান না করি, তাহলে তারা আমাদের ধর্মকেও সম্মান করবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আজ যে উৎসাহ নিয়ে এমন একটি সমাবেশে এসেছি সেই জঙ্গিবাদবিরোধী উৎসাহ বজায় রাখব।
সমাবেশের প্রধান বক্তা যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদবিরোধী আজকের সমাবেশে যুবলীগের আহ্বানে যুব জনতা এক হও-সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ রুখে দাঁড়াও। তিনি অভিযোগ করেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান-ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে- অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে এই বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই প্রত্যয়ের বুকে প্রাতিষ্ঠানিক ছুরিকাঘাত করেছিল জিয়াউর রহমান।
যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খাঁন নিখিলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুবমহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সুচিন্তার আহ্বায়ক এ. আরাফাত, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মো. ফারুক হোসেন, সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।