পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খুলনা ব্যুরো : কাঁচামাল সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে খুলনায় গতকাল শনিবার বেকারি মালিকদের ডাকা প্রথমদিনের ধর্মঘট পালিত হয়েছে। তিনদিনের ডাকা ধর্মঘটের সকাল থেকে প্রায় সব কারখানা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন মালিকরা। এতে বেকারি সামগ্রীর উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৬ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বেকারি পণ্যের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক বেকারি মালিকদের অহেতুক হয়রানির প্রতিবাদে খুলনা জেলা বেকারি মালিক সমিতি তিনদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়। খুলনা জেলা বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির তালুকদার জানান, খুলনার শতাধিক কারখানা বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন তারা। এরমধ্যে মহানগরীতে ৭০-৮০টি এবং অন্যান্য উপজেলা পর্যায়ে ৩০-৪০টি কারখানা রয়েছে। সমিতির সভাপতি মোঃ শামসুল আলম বলেন, কয়েক মাস ধরে বেকারি পণ্যের কাঁচামাল চিনি, তেল, ময়দা ও ফুড গ্রেড ফ্লেবারের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে চিনি কেজি প্রতি ৩৮ টাকার পরিবর্তে ৭০ টাকা হয়েছে। একই সাথে শ্রমিকের বেতন এবং সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স ফিসহ অন্যান্য ফিও বৃদ্ধি পেয়েছে। সে অনুযায়ী পণ্যের বিক্রয় মূল্যবৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে বেকারি মালিকরা প্রতিনিয়ত লোকসানের শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় বেকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এতে করে ১০ থেকে ১২ পণ্যের দাম শতকরা ১০ ভাগ বৃদ্ধি করা হতে পারে। এছাড়া খুলনা জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার অধিদফতর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে বেকারি মালিকদের অহেতুক হয়রানির অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।