নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মামলা করেছে। মামলার প্রতিবেদন ১৭ আগস্ট প্রকাশ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনী তদন্তের স্বার্থে কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখিত দুর্ঘটনার কারণগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না। লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা যাতে স্বস্তিপায়, আইনী বিচার পায় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট। তদন্ত কমিটির ২০-দফা সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

গতকাল সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুড়িগঙ্গায় নৌদুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবির ঘটনাটি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রমাডুত হলে এ সংক্রান্ত অবহেলাজনিত মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারায় স্থানান্তর করা হবে। সরকার নিরাপদ নৌপথ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নৌযান মালিক, শ্রমিক ও জনগণ সবার স্বার্থ দেখছে সরকার। ভেসেল ট্রাফিক সিস্টেম (ভিটিএস) চালুর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ভিটিএস চালু ও ডিজিটালাইজড হলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। জনগণের অনুভ‚তির সাথে তাল মিলিয়ে অনেক প্রতিক‚লতার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী তদন্ত কমিটির ২০-দফা সুপারিশ সাংবাদিকদের নিকট তুলে ধরেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডবিøউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক উপস্থিত ছিলেন। বুড়িগঙ্গা নদীতে ২৯ জুন সকালে লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সেদিনই সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) মো. রফিকুল ইসলাম খানকে আহবায়ক এবং বিআইডবিøউটিএ’র পরিচালক (নৌনিরাপত্তা) মো. রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। তদন্ত কমিটি গতকাল তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।