পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়াহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, রেকিট বেনকিজার লিমিটেড।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ এবং ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে। কোম্পানিটি ডিসেম্বর, ২০১৫ শেষ হওয়া হিসাব বছরের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হয়েছে ১০ আগস্ট।
জ্বালানি খাতের কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০ শতাংশ নগদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ আগস্ট।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড ১৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ আগস্ট।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। দুই বছরের অন্তর্বর্তীকালীন ডিভিডেন্ড মিলিয়ে ৬৫০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানি। জানা যায়, ২০১৫ সালের জন্য কোম্পানিটি গত বছরের জুলাইয়ে ৫০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপর চলতি বছরের মে মাসে আরো ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করে কোম্পানিটি।
এই দুই অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ মিলিয়ে কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ সমাপ্ত অর্থবছরের মোট ৬৫০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়াও গত সপ্তাহে অষ্টম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি শেয়া হোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ। গত সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) লেনদেনে দেশের এদিকে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৪ শতাংশ বা ১৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে গত সপ্তাহে। ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ সময়ে ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭ শতাংশ বা ১২২টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯ শতাংশ বা ২৮টির।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৫২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫৩৮ দশমিক ২৬ পয়েন্টে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমেছে। গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেনের পরিমাণ ৩৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
মোট লেনদেনের ৯১ দশমিক ২৯ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহের লেনদেনে ডিএসই’র মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত কমেছে ০ দশমিক ১১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে পিই ছিল ১৪ দশমিক ৮৯। যা বর্তমানে রয়েছে ১৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে।
এ সময়ে বাজার মূলধন বেড়েছে ০ দশমিক ৩০ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২৪৫ কোটি টাকায়।
গত সপ্তাহে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। এ সময়ে কোম্পানির ৮৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪.৪১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিএসআরএম লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪.০২ শতাংশ। ৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, ইসলামি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, শাহজিবাজার পাওয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।