Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলতি বছর ওয়ালটনের সার্ভিস ইয়ার আরো গ্রাহকবান্ধব হওয়াই লক্ষ্য

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : উচ্চমানের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে গ্রাহকদের মন জয় করতে চায় ওয়ালটন। তাই ২০১৬ সালকে তারা ‘সার্ভিস ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ওয়ালটন শুরু করেছিল নতুন বছর। বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের কাছে থেকে অভাবিত ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় সম্প্রতি এ বছরকে তারা সার্ভিস ইয়ার ঘোষণা করে।
ওয়ালটন সূত্র জানায়, শুধু উচ্চমানের পণ্য নয়, সর্বোচ্চমানের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ওয়ালটন। এ লক্ষ্যে গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে গ্রাহকবান্ধব হওয়া এবং সেবার মান বাড়ানোর বিষয়ে গ্রাহকদের পরামর্শ চেয়েছে সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, আফটার সেলস সার্ভিস বিষয়ে দুটি ইমেইল আইডি ডেডিকেট করেছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে পরামর্শ ও ধারণা নেয়া হচ্ছে। আইডি দুটি হচ্ছেÑ‘ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ@ধিষঃড়হনফ.পড়স’ এবং ‘রহভড়@ধিষঃড়হনফ.পড়স’. কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা পরামর্শ এবং আইডিয়া দিয়ে সাহায্য করবেন, ওয়ালটন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। পরামর্শ দিয়ে ওয়ালটন তথা দেশকে প্রযুক্তিখাতে আরো এগিয়ে নিতে সাহায্য করার আহবান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান ও ওয়ালটন গ্রুপের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নিয়ামুল হক জানান, চলতি বছরের শুরু থেকেই আফটার সেলস সার্ভিসে ব্যাপক উন্নতি করেছেন তারা। সকল প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে দিনের কাজ দিনেই শেষ করতে। এজন্য তাদের প্রনোদনা ভাতা দেয়া হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় লোকবল বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। আরো লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ মানের বিক্রয়োত্তর সেবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি আমরা। ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের ক্ষেত্রে ওয়ালটন কতটা গ্রাহকবান্ধব হয়ে উঠতে পারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। গত ছয় মাসে সফল হয়েছি। আশা করি চলতি বছরেই বিক্রয়োত্তর সেবার ক্ষেত্রে একটা রোল মডেল হয়ে দাঁড়াবে ওয়ালটন’। গত বছর প্রায় ১৬০০ প্রকৌশলী ও টেকনিশয়ান কাজ করতো সার্ভিস সেন্টারে। বর্তমানে সেখানে কাজ করছেন দুই হাজার চারশরও বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান। নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং ইনসেনটিভ প্রদানের ফলে বেড়েছে তাদের কর্মদক্ষতা। গ্রাহকদের হাতের নাগালে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে প্রায় ৪৩টি জেলা শহরে ৬২ পূর্ণাঙ্গ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২৮৪টি প্লাজাতেও আছে বিক্রয়োত্তর সেবার ব্যবস্থা। শিগগিরই চালু হচ্ছে আরো ৯টি সার্ভিস সেন্টার। আরো নতুন নতুন সার্ভিস সেন্টার ও পয়েন্ট চালুর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ওয়ালটনের গ্রাহকরা বর্তমানে যে কোনো সময় কল সেন্টারে ফোন করে (হটলাইন নম্বর ১৬২৬৭) ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাক্সিক্ষত সেবা। কল সেন্টার প্রতিনিধিগণ গ্রাহকের কথা শুনে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এদিকে খুব শিগগিরই বিক্রয়োত্তর সেবায় নতুনত্ব নিয়ে আসছে ওয়ালটন। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এই সেবা হবে অনলাইনভিত্তিক। গ্রাহক ঘরে বসেই জানতে পারবেন তার পণ্যের বর্তমান অবস্থা। সেবা পেতে কত সময় লাগবে, পণ্যটি এখন কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেলিভারি ইত্যাদি বিষয় জানা যাবে অনলাইনেই।
উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ানদের সমন্বয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, লেটেস্ট যন্ত্রপাতি ও সম্পূর্ণ ব্র্যান্ড নিউ স্পেয়ার পার্টস দিয়ে দ্রুত ও নিখুঁত বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়া হচ্ছে। যে সকল অঞ্চলে এখনো সার্ভিস পয়েন্ট গড়ে ওঠেনি, সেখানে ভ্রাম্যমাণ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলতি বছর ওয়ালটনের সার্ভিস ইয়ার আরো গ্রাহকবান্ধব হওয়াই লক্ষ্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ