পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এড.নুরুল ইসলাম সুজন এম,পি বলেছেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও বলিষ্ট নেতৃত্বে ২০১১ সালে রেলের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করা হয়। সেই কারনে এদেশের রেলের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। অতীতে বিএনপি-জামাত জোট সরকারসহ অন্যান্য সরকারের আমলে এই রেল কে সংকুচিত করা হয়েছিল। এসরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী বলেই রেলের এতোবেশি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ভারত-নেপাল এবং ভুটানের সাথে রেল পথে ব্যবসা করার জন্য দেশের যেসব রেল সংযোগ আছে তার মধ্যে বিরল-রাধিকাপুর রেল যোগাযোগ উল্লেখযোগ্য। রেল পথের উন্নয়ন ঘটার পর এই রেল পথ দিয়ে ভারতের সাথে ইতিমধ্যে আমাদনী-রফতানি শুরু হয়েছে। আমরা এই বিরল স্থল বন্দরকে একটি আধুনিক মানের স্থলবন্দর করতে চাই। এর জন্য দ্রুত সবকিছু করা হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন থমকে গেছে। আমরাও এর ব্যতিক্রম নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে আমরা মহামারি করোনা সংকট মোকাবিলা করে যাচ্ছি। এই সংকট কালীণ সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তর বঙ্গের সাথে আরোও রেলের ব্যপক উন্নয়ন ঘটনোর জন্য বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর একটু উজানে ডবল লাইনের আরো একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দ্রুত সেতুটির কাজ শুরু করা হবে। সোমবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুরের বিরল স্থল বন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
এসময় বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিতত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়ের সঞ্চালোনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিরল স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গ ভাবে চালু হলে এই এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশ তথা ব্যবস্যা-বানিজ্যের উন্নয়ন ঘটবে। অনেক এলাকায় স্থল বন্দর থাকলেও রেল যোগাযোগের সুবিধা প্রতিটিতে নাই। আমাদের এই বিরল স্থল বন্দরে সেটা আছে। বন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হলে দেশের একটি উন্নয়নের মাইল ফলক তৈরী হবে। তাই সে লক্ষ্যনিয়ে স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার জন্য সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো.মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম,পিপিএম (বার), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, ইউএনও জিনাত রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব,বিরল স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন,ভান্ডারা ইউপি শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনপ্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও বিশেষ অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আধুনিক বিরল রেল ষ্টেশন যৌথভাবে শুভ উদ্ধোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।