পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে প্রবাসীদের পাশে থাকতে রেমিট্যান্সের ওপর বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। তবে অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে আরও এক শতাংশ বেশি প্রণোদনা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ এ ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে মিলছে নগদ ৩ শতাংশ প্রণোদনা।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। চলতি অর্থবছরেও এটি কার্যকর রেখেছে। এটি যুগোপযোগী একটি পদক্ষেপ।
তিনি জানান, সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক রেমিট্যান্সের ওপর ১ শতাংশ বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকারের ঘোষিত ২ শতাংশের প্রণোদনার সঙ্গে আরও এক শতাংশ প্রণোদনা বেশি পাবেন। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। গত রমজান মাস থেকে এই প্রণোদনা চালু হয়েছে, চলবে আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত। এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অগ্রণী ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠালে এই সুবিধা ভোগ করবেন।
সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রেমিট্যান্স আহরণে অগ্রণী ব্যাংক ‘নাম্বার ওয়ান’ জানিয়ে এমডি শামস-উল ইসলাম বলেন, আমরা এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে অগ্রণী ব্যাংকের সিঙ্গাপুরের একচেঞ্জ অফিস একটি অ্যাপস তৈরি করেছে। সিঙ্গাপুরের প্রবাসীরা ব্যাংকে না এসেই অ্যাপসের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন। এতে মহামারির সময়ে আমাদের ব্যাংকের রেমিট্যান্স আহরণ অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৬ কোটি ২৮ লাখ ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার ৪০ শতাংশই এসেছে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৩৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।
করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশিয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে) এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। এর আগে কোনো অর্থবছরে এতো অর্থ দেশে আসেনি। অর্থাৎ এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণের বছর। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স হয় এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৮৩ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৬ কোটি ৪২ লাখ ডলার। গত জুনের ১৮৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স একক মাস হিসাবেও সর্বোচ্চ অংকের। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল গত বছরের মে মাসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।