পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মৃত্যুর ঘটনায় স্ত্রীর করা ইউডি মামলা ও বড় ভাইয়ের করা হত্যা মামলাসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, কমিশনারের নির্দেশে মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্তভার ডিবি গুলশান বিভাগে ন্যস্ত করা হয়েছে। মামলার সকল ডকুমেন্ট ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, আমাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনও তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। তদন্ত শুরুর জন্য মামলা নিয়ে হোমওয়ার্ক করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে পরিবার, স্ত্রী ও সাংবাদিক সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আফতাবনগরের জহিরুল ইসলাম সিটির ৩ নম্বর সড়কের বি বøকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন সাংবাদিক নান্নু। গত ১২ জুন ভোর পৌঁনে ৪টার দিকে সেখানে রহস্যজনক আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। নান্নুকে গুরুতর অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। গত ১৩ জুন সকাল ৮টা ২০ মিনিটে সেখানে আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী শাহীনা হোসেন পল্লবী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। তবে গত ২৯ জুন স্ত্রী শাহিনা হোসেন পল্লবী এবং তার শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নান্নুর বড় ভাই মো. নজরুল ইসলাম খোকন। মামলার এজাহারে বাদী মো. নজরুল ইসলাম খোকন নান্নুর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক উল্লেখ করে বলেন, নান্নুর স্ত্রী পল্লবী ও শাশুড়ি শান্তা গত ১১ জুন রাতে বাসায় লাগা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি। দগ্ধ নান্নু নিজেই ১০ তলা থেকে হেঁটে নিচে নামেন। সেখানে আশপাশের ফ্ল্যাট মালিকরা নান্নুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর আগে মাত্র ছয় মাস আগে গত ২ জানুয়ারি ওই বাসার একই রুমে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তাদের একমাত্র সন্তান স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস (২৪) মৃত্যুবরণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।