পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা প্রকোপেও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ডাক বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পছন্দসই প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিতে বাতিল করা হয়েছে টেন্ডার। নতুন টেন্ডার ডাকা হয়েছে। তোড়জোর চলছে সমঝোতায় আসা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়ার। তবে ‘গোপন সমঝোতা’র এই তথ্য জানাজানি হয়ে যায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি অভিযোগ দাখিল হওয়ার পর।
অভিযোগের তথ্যমতে, সরকার সম্প্রতি ডাক বিভাগের ‘ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘জরাজীর্ণ ডাকঘর মেরামত প্রকল্প’ নামে দুটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। একটি ৪৮০ কোটি টাকা, অন্যটি ২২৫ কোটি টাকার। করোনার কারণে সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রকল্পের কাজ থমকে দাঁড়ায়। কিন্তু ডাক বিভাগের এ দু’টি প্রকল্পের কার্যক্রম যেন আরও গতিশীল হয়ে ওঠে। বিশ্বের করোনা বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে প্রকল্প দুটির আওতায় যথাক্রমে- ২শ’ এবং ১শ’ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়।
গত ২৬ এপ্রিল আহবান করা হয় ই-টেন্ডার। টেন্ডার খোলার তারিখ ছিলো ২৭ মে। ওই টেন্ডারে গোপন সমঝোতা হয় ‘কুশলী’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সে অনুযায়ী কুশলীই কাজটি পাওয়ার বিষয়ে ডাক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখনই যখন এর চেয়ে নিম্ন দর দাখিল করে ‘দি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্ট’ নামক প্রতিষ্ঠান।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ডাক বিভাগের ই-টেন্ডারে ম্যানুপুলেট হওয়ার অভিযোগ পুরনো। সার্ভারে প্রবেশের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটে এখানে। এ ক্ষেত্রেও পাসওয়ার্ড হাতিয়ে একজন শীর্ষ ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। তিনি সার্ভার কড়া প্রহরায় রেখে পছন্দসই প্রতিষ্ঠান কুশলীকে দেয়ার ছক আঁকেন। কিন্তু তার ওপর টেক্কা দেয় দি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্ট নামক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি কুশলীর দাখিলকৃত দর গোপনে জেনে যায়। সেই অনুযায়ী কুশলীর চেয়ে কম দরে দরপত্র দাখিল করে। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে কুশলীর কার্যাদেশ লাভ। এভাবে ডাক বিভাগের কমিশনভোগী শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা ভন্ডুল হয়ে যায়। পরে দি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টের কার্যাদেশ প্রাপ্তি ঠেকাতে বাতিল করা হয় টেন্ডারটি। কারণ দেখানো হয় ভিন্ন। করোনায় অধিক প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ নিতে না পারা এবং প্রতিযোগিতামূলক দর না পাওয়ার গ্রাউন্ড দেখিয়ে গত ২৭ মে বাতিল করা হয় টেন্ডারটি। কুশলীকে কার্যাদেশ দিতেই গত ২২ জুন আহবান করা হয় টেন্ডার। ২৩ জুলাই টেন্ডারটির শেষ দিন। কুশলীর কাছ থেকে আগেই ডাক বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ১০ শতাংশ হারে কমিশন বাগিয়ে নিয়েছেন-মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।
এ বিষয়ে জানতে দরপত্র আহবানকারী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রাকিব হোসেন চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হয়। ক্ষুদে বার্তাও পাঠানো হয়। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। টেন্ডার ম্যানুপুলেট, কমিশন গ্রহণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে পছন্দসই কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগ সম্পর্কে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব ভট্টাচার্য বলেন, করোনাকালীন যেকোনো দুর্নীতির বিষয়ে দুদক শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করছে। উল্লেখিত ক্ষেত্রে দুর্নীতি সংঘটিত হয়ে থাকলে কমিশন নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।