পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনশক্তি রফতানির প্রধান অঞ্চল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেছে বাংলাদেশের মানবপাচারকারী এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের নাম। তার অপকর্ম নিয়ে প্রতিদিন সে দেশের আরবি, ইংরেজি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। এমপি পাপুলের ঘুষ বাণিজ্য ইসলামী রাষ্ট্র কুয়েতের প্রশাসনকে নাড়া দিয়েছে। কারাগারে বন্দি পাপুল কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে তদন্তের সময়ে এমপি পাপুল এই বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সে দেশের দৈনিক পত্রিকা আরব টাইমস।
পত্রিকাটি জানায়, মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক এমপি পাপুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এদিকে পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস মনে করে এই অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য মামলাটি ফৌজদারি আদালতে প্রেরণ করা উচিত। আরব টাইমসের খবরে বলা হয়, মানবপাচারের বিষয়ে কুয়েতের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার বিষয়ে এমপি পাপুল পাবলিক প্রসিকিউটরকে জানান, তার কোম্পানিতে ৯ হাজার মানুষ কাজ করে। তাদের কুয়েতে কাজ করার জন্য একটি বৈধ আদেশ আছে। তার দাবি, তিনি যে কাজ করেছেন সেটির সফলতা নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করতে পারবে না। কিন্তু কুয়েতের কিছু কর্মকর্তা তার কাজ আটকে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের ঠেকানোর জন্যই তিনি ঘুষ দিয়েছেন।
পাপুল আরও জানিয়েছেন, তার কোম্পানিতে যে ধরনের ইকুইপমেন্ট আছে সেটি আর কোনও কোম্পানির কাছে নেই। তিনি গুণগতমান সম্পন্ন সেবা প্রদান করেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখানকার (কুয়েত) কিছু কর্মকর্তা। প্রসিকিউটর অফিসের একটি সূত্র জানায়, পাপুলের ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে কুয়েতের প্রশাসনের অনেক ব্যক্তি জড়িত। এদের সবার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন।
গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে কীভাবে তিনি মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছেন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে। এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় ৬০ কোটি টাকা নিট লাভ করতেন। এছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ জব্দ করার জন্য কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর। মানবপাচার ও প্রতারণায় এমপি পাপুলকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে কুয়েতের বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদ ও দূতাবাসে কর্মরত কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।